দেশে শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগে স্মার্টফোন কারখানা শাওমি'র

দেশে শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগে স্মার্টফোন কারখানা শাওমি'র

Xiaomi


বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে শাওমির স্মার্টফোন কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি ভিডিওতে বক্তব্যে দিয়েছেন। আর সরাসরি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।


বাংলাদেশে বিভিন্ন স্মার্ট লাইফ স্টাইল পণ্য তৈরি করে তা বিদেশে রপ্তানি করতে চায় চায়না জায়ান্ট শাওমি। এর‌ইমধ্যে এদেশে স্মার্টজুতা তৈরিতে কোম্পানি কাজ করছে বলে জানিয়েছে। অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে এখন ১৪টি মোবাইল ফ্যাক্টরি থেকে উৎপাদিত মোবাইল সেট দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৬৫ ভাগের বেশি পুরণ করছে। চাহিদার শতকরা ৮০ ভাগ স্মার্টফোন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।


শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ভারত, চীন ও ভিয়েতনামে উৎপাদিত স্মার্টফোনের মতো মানসম্পন্ন স্মার্টফোন তৈরি হবে। এ সময় বাংলাদেশ হতে লাইফ স্টাইল পণ্য, বিশেষ করে স্মার্ট জুতা রপ্তানির করতে কাজ করার কথা জানান তিনি। দেশে শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগে স্মার্টফোন কারখানা তাদের।


দেশে শাওমির কারখানার মাধ্যমে দেশের তরুণদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বৈশ্বিক মানের ইলেক্ট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা হবে। বাংলাদেশে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্মার্টফোনের ৯৪টি খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। বর্তমানে ১৫৪টি খুচরা যন্ত্রাংশে আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ। এ কারণেই দেশে একের পর এক স্মার্টফোন সংযোজন কারখানা হচ্ছে।


বাংলাদেশের কারখানা থেকে উৎপাদিত ৫জি মোবাইল সেট আমেরিকায় যাচ্ছে। সৌদি আরবে আইওটি ডিভাইস রপ্তানি হচ্ছে। বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রপ্তানি হচ্ছে। সৌদি আরব ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি হচ্ছে।


বাংলাদেশে ডিবিজি টেকনোলজি লিমিটেড শাওমির এই কারখানা করেছে। গাজীপুরের ভোগড়ায় শাওমির এই কারখানা অবস্থিত।বিটিআরসি হতে ’এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স পেয়েছে শাওমি। শাওমি দেশে সেমি নক ডাউন (এসকেডি) বা হ্যান্ডসেটের যন্ত্রাংশ এনে সংযোজন করে স্মার্টফোন তৈরি করছে। অনুষ্ঠানে শাওমি কর্তৃপক্ষ বলছে, এই কারখানায় দেশের ১ হাজার জনের কর্মসংস্থান হবে।



No comments

Powered by Blogger.