জমির নামজারি বা মিউটেশন'এর প্রয়োজনীয়তা

জমির নামজারি বা মিউটেশন'এর প্রয়োজনীয়তা

Mutation


|★| নামজারি (Mutation) কাকে বলে ?
‘নামজারি’ বলতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো বৈধ পন্থায় ভূমি/জমির মালিকানা অর্জন করলে সরকারি রেকর্ড সংশোধন করে তার নামে রেকর্ড আপটুডেট (হালনাগাদ) করাকেই নামজারি বলা হয়। 

কোনো ব্যক্তির নামজারি সম্পন্ন হলে তাকে একটি খতিয়ান দেওয়া হয়। এখানে তার অর্জিত জমির একখানি সংক্ষিপ্ত হিসাব বিবরণী উল্লেখ থাকে। উক্ত হিসাব বিবরণী অর্থাৎ খতিয়ানে মালিকের নাম, কোন মৌজা, মৌজার নম্বর (জে এল নম্বর), জরিপের দাগ নম্বর, দাগে জমির পরিমাণ, একাধিক মালিক হলে তাদের নির্ধারিত হিস্যা ও প্রতি বছরের ধার্যকৃত খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।


|★| জমির নামজারির প্রয়োজনীয়তা !
শুধু কোনো দলিলের মাধ্যমে অর্জিত মালিকানার ভিত্তিতে অথবা ওয়ারিশ হিসেবে পিতামাতার জমিতে দখলসূত্রে থাকলেই সরকারি রেকর্ডে উক্ত ভূমিতে তাঁর মালিকানা নিশ্চিত হয় না। কোনো ভূমিতে বৈধ ওয়ারিশ বা ক্রয়সূত্রে মালিক হবার পর পূর্বের মালিকের নাম হতে নাম কেটে বর্তমান মালিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয়, তাহলেই তার মালিকানা সরকার কর্তৃক নিশ্চিত হয়। আর এটিই হলো নামজারি পদ্ধতি। 

আপনি যদি ওয়ারিশ হিসেবে বা ক্রয়সূত্রে কোনো জমির মালিক হন কিন্তু নামজারি না করান, তবে আপনার অজান্তে কোনোভাবে এক/একাধিক দলিল সম্পাদন করে কোনো স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি আপনার আগে নামজারি করে ফেলতে পারে। তাতে আপনি পরবর্তীতে নামজারি করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়বেন। 

বাস্তবক্ষেত্রে জটিলতা আরও বাড়তে দেখা গেছে, যখন উক্ত স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি অপর এক বা একাধিক ব্যক্তির নিকট ওই জমি ইতোমধ্যে বিক্রয় করে ফেলেছে। তখন হয়রানির সীমা থাকে না। তাই সকলেরই উচিত যে, জমি ক্রয় করার সাথে নামজারি করে দেন। তাহলে ভবিষ্যতে আর কখনও ভোগান্তির অবকাশ থাকবে না। 


No comments

Powered by Blogger.