গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির উৎস

গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির উৎস

A source of nutrition for pregnant mothers


গর্ভাবস্থায় অপর্যাপ্ত খাদ্য এবং অপুষ্টির কারণে একদিকে যেমন কম ওজন অন‍্যদিকে অপুষ্ট নিয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করে, তেমনি সে মায়েরও রক্তশূন্যতা, আমিষের অভাব, শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দেয়। তাই তো এই সময় মায়ের খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। প্রতিদিনের সুষম খাদ্য পরিকল্পনার পাশাপাশি কিছু বিশেষ উপাদানের দিকে লক্ষ রাখা উচিত। অবহেলা করা কোনো ভাবেই কাম‍্য নয়। 


যেসব বিষয়ে নজর রাখতে হবে
এই সময়ে শিশুর বেড়ে ওঠা ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ নির্ভর করে মায়ের কাছ থেকে পাওয়া পুষ্টির ওপর। একটি শিশু ২৮০ দিন বা নয় মাস দশ দিন মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠার পর পৃথিবীর আলো দেখতে পায়। এই অনাগত শিশুর জন্য হবু মায়ের সম্পূর্ণ কেয়ার করা দরকার। বিশেষ করে খাবার দাবারের প্রতি একটু বেশিই কেয়ার করতে হয়। যেমন, 
ফলিক অ্যাসিড
আমিষ
ক্যালসিয়াম
আয়রন, ইত্যাদি। 

|◆| ফলিক অ্যাসিড
ফলিক অ্যাসিডের অভাবে মায়েদের রক্তস্বল্পতা হতে পারে। এ ছাড়া ফলিক অ্যাসিড সন্তানের জন্মগত বিকলাঙ্গতা প্রতিরোধ করে। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে চার গুণ বেশি ফলিক অ্যাসিড খাওয়া উচিত। পালংশাক, লেটুস, কলিজা, শুকনো সিমের বিচি, ডিম, ডাল, দুধ ইত্যাদি ফলিক অ্যাসিডের উৎস।

|◆| আমিষ
স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি আমিষ দরকার হয় এ সময়। ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধি, স্তনগ্রন্থীর বৃদ্ধি ইত্যাদি নিশ্চিত করতে আমিষ প্রয়োজন। দৈনিক ৯০ থেকে ১০০ গ্রাম আমিষ দরকার হবে এ সময়। এই আমিষের মূল উৎস হবে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, ডাল ও সিমের বিচি।

|◆| ক্যালসিয়াম
নবজাতকের হাড় ও দাঁত গঠনের জন্য শেষ তিন মাসে প্রচুর ক্যালসিয়াম দরকার হয়। একজন গর্ভবতী নারীর দৈনিক অন্তত এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খেতে হবে। দুধ ও দই ক্যালসিয়ামের একটি আদর্শ উৎস। এ ছাড়া ডাল, সরিষাশাক, বাঁধাকপি, শালগম, বিট, বাদাম, মাছ এবং ফলের মধ্যে কমলা ও আঙুরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অনেক।

|◆| আয়রন
স্বাভাবিক অবস্থায় একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর দৈনিক ৩০ গ্রাম লৌহ বা আয়রন দরকার হয়, কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে দরকার হয় দৈনিক ৩৮ গ্রাম। লৌহ অনেক পরিমাণে পাওয়া যাবে কলিজা, শুকনো ফল, সবুজ সবজি, কালো কচুশাক, পালংশাক, লালশাক, টেংরা মাছ, বিট, গুড়, খেজুর, সফেদা ও টক ফলমূল ইত্যাদিতে।



No comments

Powered by Blogger.