সূর্যের সূত্র কথা

সূর্যের সূত্র কথা

Speaking of the source of the sun


সূর্যের উৎপাদিত শক্তির পুরোটাই আসে পারমাণবিক ফিউশন থেকে আর এটি ঘটে সূর্যের কেন্দ্রীয় বা Core অঞ্চলেই। সূর্যের কেন্দ্র থেকে এর পৃষ্ঠ পর্যন্ত দূরত্বের ৩০% এর মধ্যেই সূর্যের প্রায় সবটুকু শক্তি উৎপাদিত হয়ে থাকে। বাকি ৭০% এলাকায় এই শক্তি স্তরে স্তরে পরিচলিত হয়। সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা প্রায় ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

সূর্যের কাঠামোকে বেশ কিছু অঞ্চলে ভাগ করা যায় যেমন,
● কেন্দ্রীয় অঞ্চল
● বিকিরণ অঞ্চল
● ট্যাকোক্লাইন
● তাপ পরিচলন অঞ্চল
● পৃষ্ঠ ইত্যাদি

সূর্যের জন্ম আজ থেকে প্রায় ৪,৬০০ কোটি বছর আগে! বিজ্ঞানীদের ধারণা সূর্য ও সৌরজগতের জন্ম এক বিশাল মহাজাগতিক মেঘ থেকে যা অভিকর্ষ বলের প্রভাবে কেন্দ্রীভূত হতে থাকে এবং এই মেঘ থেকেই জন্ম হয় সূর্যের। আমরা আগে জেনেছি কিভাবে একটি নক্ষত্রের জন্ম হয়! সূর্যের জন্ম যেই গ্যাস ও ধূলিকণার মেঘ থেকে, একে সৌর নেবুলা বলা হয়। 


মহাশূন্যের বেশিরভাগ নক্ষত্রই সূর্যের চেয়ে আকারে ছোট! মহাবিশ্বের নক্ষত্র গুলোকে ভর অনুসারে ভর বেশি থেকে কমের দিকে সাজানো হলে সূর্য প্রথম ১০% এর মধ্যে থাকবে! আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ের নক্ষত্রগুলোর গড় ভর সূর্যের ভরের অর্ধেকেরও কম।


গ্যাস ও ধুলা যখন ঘনীভূত হচ্ছিল তখন তা ভরকেন্দ্রকে ঘিরে চাকতির মতো করে ঘুরতে ঘুরতে কেন্দ্রে পতিত হচ্ছিল আর গঠন করছিল সূর্যের। আর এই চাকতির থেকে কিছু কিছু জায়গায় গ্যাস ও ধুলা ঘনীভূত হয়েই আমাদের সৌরজগতের গ্রহ উপগ্রহ এসবের উৎপত্তি ঘটায়।


সূর্য তাঁর শক্তির যোগান পায় পারমাণবিক ফিউশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে এটি এর কেন্দ্রে হাইড্রোজেনকে হিলিয়ামে রুপান্তরিত করছে। বর্তমানে সূর্যের প্রায় ৭০% ই হাইড্রোজেন ও ২৮% হিলিয়াম রুপে আছে। বাকি ২% অন্যান্য মৌল। এই অনুপাত সময়ের সাথে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে! কারণ হাইড্রোজেন রুপান্তরিত হচ্ছে হিলিয়ামে।

সূর্য নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে নিয়মিত ঘুরছে। তবে এটি যেহেতু কোন কঠিন বস্তু না বরং বিশাল গ্যাসের পিণ্ড তাই এর ঘোরার বেগ সব জায়গায় সমান নয়। অর্থাৎ বিষুবীয় অঞ্চলে এটি পৃথিবীর হিসেবে প্রায় সাড়ে ২৫ দিনে একবার ঘুরে আসে, আর মেরু অঞ্চলে একবার ঘুরতে ৩৬ দিন পর্যন্ত লাগতে পারে। 



No comments

Powered by Blogger.