খাজনা কাকে বলে এবং এ সংক্রান্ত কিছু বিধানাবলি
✓ খাজনা কাকে বলে ?
কোনো জমি ভোগ দখলের সুবিধা গ্রহণের জন্য সরকারকে প্রতি শতাংশ জমির জন্য প্রতিবছর যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করতে হয়, তাকেই ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা বলে।
✓ খাজনা আদায়ের ফলে যেসকল অধিকার পাবেন
১. খাজনা প্রদান করে দাখিলা গ্রহণের অধিকার।
২. খাজনা প্রদান করে দাখিলার মাধ্যমে জমির মালিকানা প্রমাণের অধিকার।
৩. যদি কোনো ব্যক্তি খাজনা সংক্রান্ত ব্যাপারের কোনো আদেশে অসন্তুষ্ট হন, সেক্ষেত্রে আপিলের অধিকার। (১৯৭৬ সালের ভূমি উন্নয়ন কর বিধিমালার ৭ বিধি)
৪. রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা হওয়ার আগে নোটিশ পাবার অধিকার [(যেমন- ডাকযোগে/প্রকাশ্য স্থানে লটকানোর মাধ্যমে/সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির উপর টাঙানোর মাধ্যমে। (১৯৭৬ সালের ভূমি উন্নয়ন কর বিধিমালার ৬ বিধি)]
✓ খাজনা দিতে হয়না যেসকল ক্ষেত্রে
১৯৭৬ সালের ভূমি উন্নয়ন কর বিধিমালা অনুযায়ী নিম্নে বর্ণিত অবস্থা গুলোতে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী খাজনা দিতে হয়না,
১. ২৫ বিঘার কম জমি থাকলে।
২. ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি পর্যায়ে নিজে শারীরিক পরিশ্রম করে হাঁস-মুরগির খামার/ডেইরি ফার্ম হিসেবে কোনো জমি ব্যবহার করলে।
৩. ৫টির কম হস্তচালিত তাঁত যদি কোনো জমির উপর অবস্থিত হয় এবং তাঁতগুলো যদি জমির মালিক নিজে শারীরিক পরিশ্রম করে চালায়।
৪. যদি কোনো জমি প্রধানত প্রার্থনার স্থান অথবা ধর্মীয় উপাসনালয় অথবা সর্ব সাধারণের কবরস্থান/শ্মশান ঘাট হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী খাজনা দিতে হয়না।
✓ যেসকল ক্ষেত্রে খাজনা আইন লঙ্ঘন হবে
১. খাজনা প্রদানের পর দাখিলা/রশিদ প্রদান না করা।
২. খাজনা প্রদান করে দাখিলার মাধ্যমে জমির মালিকানা প্রমাণে বাধা দেওয়া।
৩. ২৫ বিঘার কম জমি থাকা সত্ত্বেও খাজনা দাবি করা।
৪. খাজনা মওকুফের জন্য দরখাস্ত গ্রহণ না করা।
৫. রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা হওয়ার আগে নোটিশ প্রদান করা।
✓ প্রতিকারের জন্য কোথায় যেতে হবে
খাজনা প্রদান সংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে সমস্যা সৃষ্টি হলে থানা রাজস্ব কর্মকর্তা তথা সহকারী ভূমি কমিশনারের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে (১৯৭৬ সালের ভূমি উন্নয়ন কর বিধিমালার ৭ বিধি)।
✓ আপিলের সুযোগ আছে কি ?
অবশ্যই আছে, খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর সংক্রান্ত কোনো প্রাথমিক দাবি সম্পর্কে কোনো ব্যক্তির বা ভূমি মালিকের কোনো আপত্তি থাকলে আপত্তি দাখিল করা যাবে (১৯৭৬ সালের ভূমি উন্নয়ন কর বিধিমালার ৭ বিধি)।
✓ কোথায় আপত্তি দাখিল করতে হবে
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অথবা জেলা প্রশাসক (ডি.সি.)-এর নিকট।
✓ কতদিনের মধ্যে : ১৫ দিনের মধ্যে।
No comments