শেভিংয়ের সময় কিছু ভুলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আপনার ত্বক
শেভিং করা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি দৈনিক করছেন, সাপ্তাহিক করছেন, সেটাও আপনার পছন্দের ব্যাপার। কিন্তু শেভিংয়ের সাথে সাথে সেভিং করাও জরুরি। আপনার মুখমণ্ডল, আপনার ত্বককে কাটা- ছেঁড়ার হাত থেকেও রক্ষা করতে হবে। শেভিং করতে হবে ঠিকঠাক মতো।
শরীরের লোম অপসারণ করা যতটা জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি নিজের ত্বককে রক্ষা করা। শেভিং করার সময় অজান্তেই আমরা এমন কিছু ভুল করে ফেলি যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ত্বক। সঠিক পদ্ধতিতে সবকিছু হচ্ছে কিনা তা জানার জন্য এই প্রতিবেদন।
আসুন দেখে নেওয়া যাক শেভিং করার সঠিক পদ্ধতি। নির্ভুল শেভিং এবং আপনার করণীয়, কিছু বর্জনীয়।
(১) ভালো মতো ফেনা করতে হবে
আপনার যত তাড়াই থাক, ভালো করে ফেনা করে তারপর শেভ করুন। তাড়া আছে বলে কোনোরকমে একটু ফোম লাগিয়েই রেজার চালিয়ে দেবেন না, এতে আপনার ত্বক যথেষ্ট ফেনা না হওয়ায় ভালো মতো ভেজবে না। এতে করে কেটে যেতে পারে, ত্বকে র্যাশ বেরোতে পারে, সবচেয়ে বড় কথা ত্বকের মসৃণ ভাবটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
(২) ডিসপোজেবল রেজার ব্যবহারে সাবধান
ডিসপোজেবল রেজার দিয়ে যাঁরা প্রতিদিন বা একদিন অন্তর অন্তর শেভ করেন, তাঁরা অন্ততঃ সাতদিন পর পর রেজার পালটে ফেলুন। নয়তো নানান রকম সংক্রমণ দেখা দিতে পারে আপনার ত্বকে। আপনার ত্বক শেভ করার পর চুলকাতে পারে। তাই বেশি বাঁচাতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়বেন না।
(৩) উল্টোদিক থেকে শেভ করা যাবে না
উল্টোদিকে শেভ করলে একদম গোড়া থেকে লোম উঠে যায় ঠিকই, কিন্তু এতে কেটে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বেশি। তা ছাড়া ইনগ্রোন হেয়ারের মতো সমস্যা, খসখসেভাবও হতে পারে। উল্টোদিকে বেশি দিন শেভ করলে লোমের গোড়ায় ফাটল ধরে, তাই এমনটা করা যাবেনা।
(৪) শেভিংয়ের আগে exfoliate করে নিতে হবে
মনে রাখতে হবে, ত্বকে রেজার চালানোর আগে যদি একটু ঘষেমেজে exfoliate করে নিতে পারেন, তাহলে শেভিং ভালো হবে। এক্সফোলিয়েশনের ফলে হাত পায়ের মৃত কোষ উঠে যাবে, লোমের গোড়াগুলো নরম হয়ে যায়, শেভিংও হবে ঝটপট এবং নিখুঁত।
(৫) ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন
শেভিংয়ের ফেনা ধোয়ার সময় অবশ্যই ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন, গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। এতে ত্বকে জলন হবে এবং অস্বস্তি বোধ লাগবে শেভিং হয়ে যাওয়ার পরে মুখ ধুয়ে নিয়ে তৎক্ষণাৎ ভালো করে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। তাহলে মুখে টানটান ভাব থাকবে না।
শেভিংয়ে অবহেলা কিংবা অজ্ঞতার কারণে মুখের ব্রণ, কাটাছেঁড়া দাগ, ডার্ক সার্কেল ইত্যাদি দেখা দেয়। পুরুষ এমনিতেই একটু রুক্ষ ত্বকের হয়ে থাকে, তার উপরে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি আরো অবলিলা হয়ে দাঁড়ায়। স্বাস্থ্য সচেতনতা সকলের সামগ্রিক অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।
No comments