মুতার যুদ্ধ এবং ইসলামের জয়


battle-muta-and-victory-Islam



হুদায়বিয়ার সন্ধি (মার্চ ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে মক্কা বিজয় (জানুয়ারী ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দ) পর্যন্ত সময়ে মুসলমানগণ কর্তৃক যে ১৭টি অভিযান পরিচালিত হয় তন্মধ্যে মুতা অভিযান ছিল অন্যতম। উমরাতুল কাযা শেষে মদিনায় ফিরে এসে রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলহাজ্জের অবশিষ্ট দিনগুলো এবং মোহাররম , সফর, রবিউল আউয়াল ও রবিউছছানী এ কযে়ক মাস মদিনায় অবস্থান করেন। 


তারপর ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দ, ৮ম হিজরীর জুমাদাল উলা মাসে রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিরিয়া অভিমুখে একটি বাহিনীকে অভিযানে প্রেরণ করেন। মুতা নামক স্থানে শত্রু বাহিনীর সাথে যুদ্ধ সংঘঠিত হওয়ায় ইসলামের ইতিহাসে তা “মুতার যুদ্ধ” নামে খ্যাত। এটি কাফেরদের সাথে মুসলমানদের একটি অসম যুদ্ধ ছিল। 


|∆| অভিযান পরিচালনার কারণ 
রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বছরার শাসনকর্তা অথবা রোমাধিপতি হিরাক্লিয়াসের নিকট হযরত হারেছ ইবনে ওমাইর (রা.) কে দূত হিসাবে প্রেরণ করেন। আরব ও সিরিয়া সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় যে আরব নেতারা শাসন কার্য পরিচালনা করত তাদের মধ্যে সুরাহ বিল আমরও ছিল। সে রোমাধিপতির অধীনে বালকা এলাকার সরদার ছিল। 


এ আরব খান্দানটি দীর্ঘকাল ধরে খৃষ্টান ছিল এবং এরা সিরিয়া সীমান্তে শাসন কাজ পরিচালনা করত। রোমান সামন্তরাজ সুরাহ বিল আমর রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রেরিত দুতকে মুতা নামক স্থানে নৃশংসভাবে শহীদ করে। এর পূর্বে রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক প্রেরিত কোন দূত শহীদ হননি। এ বিশ্বাস ঘাতকতামূলক হত্যার উপযুক্ত প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন হাজার সৈন্যের এক বাহিনী গঠন করে সিরিয়া অভিমূখে প্রেরণ করেন। যদিও এ অভিযান কিসাস গ্রহণের উদ্দ্যেশ্যেই প্রেরিত হযে়ছিল। 


কিন্তু মুল লক্ষ্য ছিল ইসলামের তাবলীগ। রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেনাপতিদের নির্দেশ দিলেন প্রথমে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিবে। তারা ইসলাম গ্রহণ করলে যুদ্ধের প্রযে়াজন নেই। সাথে সাথে এই নির্দেশও দেওয়া হল যে, সমবেদনা প্রকাশের জন্য ঐ স্থান পর্যন্ত গমন করবে, যেখানে হযরত হারেছ ইবনে ওমাইর (রা.) কর্তব্য পালনকালে প্রাণোৎসর্গ করেছেন। 


|∆| একই যুদ্ধে তিন জন সেনাপতি নিয়োগের কারণ 
ইবনে ইসহাক বলেন, মুহাম্মদ ইবনে জাফর ইবনে যুবাযে়র আমার নিকট উরওয়া ইবনে যুবাযে়র সূত্রে বর্ণনা করেন, অষ্টম হিজরীতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুতা অভিমুখে একটি অভিযান প্রেরণ করেন। হযরত যাযে়দ ইবনে হারেছা (রা.) কে সে বাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করে তিনি বলে দিলেন যে, যায়েদ যদি শহীদ হয়ে যায়।


তাহলে জাফর ইবনে আবু তালিব সেনাপতির দায়িত্ব পালন করবে আর জাফরও যদি শহীদ হয়ে যায়, তাহলে আব্দুল্লাহ ইবেন রাওয়াহা সেনাপতির দায়িত্ব পালন করবে। যুরকানীর বর্ণনায় এও রযে়ছে যে, রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহাও যদি শহীদ হযে় যায়, তাহলে মুসলমানরা যেন তাদের মধ্য থেকে একজনকে সেনাপতি নির্ধারন করে নেয়। 


 যথাসময়ে তিন হাজার মুজাহিদ রসদ নিয়ে রওয়ানা হওয়ার উদ্দ্যেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। যাত্রার প্রাক্কালে সাহাবীগণ রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেনাপতিদেরকে একে একে বিদায় সংবর্ধনা জানালেন। তাঁরাও যথারীতি তাঁদেরকে অভিবাদন জানালেন। রাসুলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছানিয়াতুল বেদা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সাথে গমন করে তাঁদেরকে বিদায় জানান। সাহাবীগণ উচ্চ স্বরে সেনাবাহীনির জন্যে এ বলে দোয়া করেন ‘আল্লাহ তোমাদের সাথী হোন, বিপদাপদ থেকে আল্লাহ তোমাদের হেফাজত করুন।’ উল্লেখ্য যে এ অভিযানে সেনাপতি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.) অনেক গুলো কবিতা আবৃত্তি করেন। 



|∆| রোমক বাহিনী ও তাদের মিত্রদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ 
মুসলিম বাহিনী মদিনা থেকে রওয়ানা হলে গুপ্তচরেরা এ খবর সুরাহবিলের নিকট পৌঁছে দেয়। সে তাঁদের মুকাবিলা করার জন্য এক লক্ষ সৈন্য সমবেত করে। অপরদিকে রোমাধিপতি হিরাক্লিয়াস সুরাহ বিলের সাহায্যার্থে এক লক্ষ রোমক সৈন্য নিয়ে বালকার মাআব নামক স্থানে শিবির স্থাপন করে। ইতিমধ্যে মুসলিম বাহিনী সিরিয়ার মাআন নামক স্থানে গিয়ে পৌছে। 


শত্রু বাহিনীর সংবাদ পেয়ে মুসলমানরা সেখানে দু’রাত অবস্থান করেন। সেনাপতি হযরত যায়েদ ইবনে হারিছা (রা.) সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে ঘটনাবলী জানিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে বাধ সাধেন অপর সেনাপতি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা। তিনি সেনাদলকে উদ্ধুদ্ধ করতে বীরত্বব্যঞ্জক এক ভাষন প্রদান করেন। তাতে তিনি বলেন: ‘লোক সকল! 


আল্লাহর কসম এখন তোমরা যা অপছন্দ করছো, সে শাহাদাত লাভের উদ্যেশ্যেই তোমরা বেরিয়ে এসেছো। আমরা মুসলমানরা সংখ্যা, শক্তি ও আধিক্যের জোরে লড়াই করিনা। সে দীনের জন্য আমাদের লড়াই, যার দ্বারা আল্লাহ আমাদেরকে গৌরবান্নিত করেছেন। অতএব সম্মুখপানে অগ্রসর হও। দুটি কল্যাণের একটি তোমাদের জন্য অবশ্যম্ভাবী; হয় বিজয়, নয় শাহাদাত।’ 


 তাঁর এ তেজোদীপ্ত ভাষণ শুনে সকলেই বলে উঠলেন : সত্যিই তো, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা যথার্থই বলেছেন। অতঃপর ক্ষুদ্র মসলিম বাহিনী সামনে অগ্রসর হয়ে বালকা সীমান্তে উপনীত হলে মাশারিক নামক স্থানে তাঁদের সঙ্গে হিরাক্লিয়াসের রোমক ও আরব বাহিনীর মুখোমুখি সাক্ষাত হয়। শত্রু বাহিনী মুসলিম বাহিনীর দিকে অগ্রসর হলে তাঁরা একটু সরে গিযে় পাশ্ববর্তী মুতা নামক একটি পল্লীতে অবস্থান নেন। 


সেখানেই উভয়পক্ষের যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। মুসলমানরা তাঁদের সৈন্যদেরকে এভাবে বিন্যস্ত করেন যে, ডান ভাগের দায়িত্ব উযরা গোত্রের হযরত কুতবা ইবনে কাতাদা (রা.) এবং বাম ভাগের দায়িত্ব হযরত উবায়া ইবনে মালিক আনসারী (রা.) কে অর্পণ করা হয়। 


|∆| যায়েদ ইবনে হারিছা (রা.) এর শাহাদাত 
তারপর তিন হাজার মুসলিম বাহিনী আর দুই লক্ষ কাফির বাহিনীর মধ্যে অসম যুদ্ধ শুরু হযে় যায়। হযরত যাযে়দ ইবনে হারিছা (রা.) রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পতাকা হাতে লড়াই করতে করতে এক পর্যাযে় শত্রুর বল্লমের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এভাবে রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষ্যদ্বানী অনুযায়ী প্রথম সেনাপতি শহীদ হয়ে যান। 


|∆| জাফর ইবনে আবু তালিব (রা.) এর শাহাদাত 
তারপর সে পতাকা হাতে নিযে় হযরত জাফর (রা.) সেনাপতি হিসাবে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হন। ঘোরতর যুদ্ধ শুরু হলে এক পর্যাযে় তিনি তাঁর লোহিত বর্ণের ঘোড়ার পিঠ থেকে লাফিয়ে পড়েন এবং ঘোড়াটির পা কেটে ফেলেন। বীর বিক্রমে শত্রু সৈন্যের মাঝে ঢুকে পড়েন যুদ্ধের পতাকা ডান হাতে ধারণ করেন। কাফিরদের তরবারির আঘাতে প্রথমে তাঁর ডান হাত শহীদ হয়। বাম হাতে তিনি পতাকা তুলে ধরলে এবার তাঁর বাম হাত ও শত্রুর তরবারির আঘাতে শহীদ হয়। এবার তিনি তা বাহুদ্বযে়র সাহায্যে বুকের সাথে জডি়যে় ধরেন। 


আর এ অবস্থাতেই শত্রুর উপুর্যপরি বর্শা ও তরবারির আঘাতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা.) বলেন: আমি তাঁর দেহে তরবারি ও বর্শার নব্বইটি আঘাত প্রত্যক্ষ করেছি। প্রত্যেকটি আঘাতই তাঁর দেহের সম্মুখভাগে। পশ্চাৎভাগে কোন আঘাতই ছিলনা। এভাবে রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভবিষ্যদ্বানী অনুযায়ী দ্বিতীয় সেনাপতি শহীদ হয়ে যান। 


 যখন তিনি শহীদ হয়ে গেলেন তখন রাসুলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরীফের মসজিদে নববীতে বসে বসে সব কিছু দেখতে পেলেন। তিনি হঠাৎ করে গায়েবী সালামের জবাব দিয়ে বলেন: ‘ওয়ালাইকুমুস সালাম’ উপস্থিত সাহাবাগণ কারণ জিজ্ঞাস করলে রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘ইন্নি আছমাউ মা লা তাছমাউন ওয়াইন্নি আরা মা লা তারাওনা’ (সহিহুল বুখারী)। 


অর্থাৎ; ‘তোমরা যাহা শুননা আমি তাহা শুনি, তোমরা যাহা দেখনা আমি আমি তাহা দেখি।’ আমি দেখতে পাচ্ছি আল্লাহ পাক জাফরকে দুহাতের বদলে দুটি নূরের পাখা দান করেছেন। সে ফেরেস্তা সহ আকাশ পথে উডে় যাচ্ছে আর আমাকে সালাম দিচ্ছে ‘আসসালাতু আসসালামুআলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ’ তাই আমি তাঁর সালামের এ জবাব দিচ্ছি। 


|∆| আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.) এর শাহাদাত 
হযরত জাফর (রা.) শহীদ হওয়ার পর রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ মোতাবেক হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.) সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর ঘোড়ায় চড়ে পতাকা ধারণ করে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে তিনিও রাসুলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষ্যদ্বানী অনুযায়ী তৃতীয় সেনাপতি হিসাবে শাহাদাত বরণ করেন। 


|∆| খালিদ ইবনে অলীদ (রা.)কে সেনাপতি নির্বাচন 
রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষ্যদ্বানী অনুসারে একে একে তিন জন সেনাপতি শাহাদাত বরণ করলে আজলান গোত্রের হযরত ছাবিত ইবনে আরকান (রা.) পতাকা ধারণ করে মুসলিম সৈন্যদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানালেন : হে মুসলিম সৈন্যরা তোমরা শলা-পরামর্শের মাধ্যমে তোমাদের কোন একজনকে সেনাপতি নিযুক্ত কর! 


জবাবে তারা বললেন: আপনিতো আছেনই। তখন তিনি বললেন: না আমি এ গুরু দাযি়ত্ব পালন করতে পারবোনা। তখন তাঁরা সকলে মিলে হযরত খালিদ ইবনে অলীদ (রা.)কে সেনাপতি নির্বাচিত করলেন। তিনি পতাকা হাতে নিযে়ই বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করে প্রবল পরাক্রমে যুদ্ধ চালাতে লাগলেন। অসংখ্য শত্রু বাহিনীকে তিনি নিধন করে চললেন। অবশেষে শত্রুরা পলায়ন করলো। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাতে মুসলমানদের বিজয় দান করলেন। 


‘ঐ যুদ্ধে হযরত খালিদ ইবনে অলীদ (রা.) এর হাতে মোট আটখানা তরবারী ভেঙ্গেঁ গিযে়ছিল’ (সহিহুল বুখারী)। রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর তেজস্বিতা ও বীরত্বে স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে ‘সাইফুল্লাহ’ তথা আল্লাহর তরবারী খেতাবে ভূষিত করেন। বিপুল পরিমান গণিমতের মালসহ প্রায় সকল সৈন্যদের অক্ষত নিযে় হযরত খালিদ ইবনে অলীদ (রা.) বিজয়ী বেশে মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন। ইবনে ইসহাক বলেন: মুসলিম বাহিনী মদিনার নিকটবর্তী হলে রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুসলমানগণ এগিয়ে গিয়ে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান। 


|∆| যুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবগতি লাভ 
ইবনে ইসহাক বলেন : মুসলিম বাহিনী যখন বিপর্যযে়র সম্মুখীন হলো তখন রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় বলে উঠলেন, ‘যায়েদ ইবনে হারিছা পতাকা হাতে নিয়ে লড়তে লড়তে শহীদ হয়ে গিয়েছেন। আর জাফর পতাকা ধারণ করেছে এবং সেও শহীদ হয়ে গিয়েছে।’ এতটুকু বলে রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিবর হযে় যান। 


ফলে আনসারদের মুখমণ্ডল বিবর্ণ হযে় যায় এবং তাঁরা ধারণা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহার সংবাদও হয়তো সন্তোষজনক নয়। তারপর রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘এর পর আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা পতাকা ধারণ করেছে। তাপর সেও পতাকা হাতে লড়তে লড়তে শাহাদাত লাভ করেছে। তারপর তিনি পুনরায় বললেন: আমি দেখলাম জান্নাতে এদের সকলকে আমার কাছে উপস্থিত করা হযে়ছে। 


তাঁরা সকলেই স্বর্ণের পালক্সেক উপবিষ্ট রযে়ছে। কিন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহার পালক্সক একটু কাত হযে় রযে়ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম এমনটি হলো কেন? উত্তরে আমাকে বলা হলো: ওরা দুজন নির্দ্ধিধায় সম্মুখে অগ্রসর হয়েছিল। পক্ষান্তরে আব্দুল্লাহ কিছুক্ষন ইতস্তত: করে তারপর অগ্রসর হয়েছিল।’ 


 হযরত খালেদ ইবনে অলীদ (রা.) দায়িত্বের ব্যাপারে রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : ‘আল্লাহর তরবারী অর্থাৎ খালিদ ইবনে অলীদ এইমাত্র মুসলিম বাহিনীর পতাকা ধারন করেছে। আল্লাহ মুসলিম বাহিনীকে শত্রুদের উপর বিজয় দান করেছেন’ (সহিহুল মুসলিম)। 


No comments

Powered by Blogger.