যোহর ও জুম‘আর নামাযের উত্তম সময়

Best time for Zohar and Friday prayers


মহান আল্লাহ তা‘আলা নামাযকে সময়ের সাথে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। প্রত্যেক নামাযের নির্ধারিত সময় রয়েছে। প্রত্যেক নামাযকে তার নির্ধারিত সময়ে আদায় করা ফরয। গ্রহণযোগ্য কোনো কারণ ছাড়া এক নামায অন্য নামাযের সময়ে আদায় করলে কবীরা গুনাহ হবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমাদের অনেকেরই এই নামাযের সময়সূচী অজানা। এলাহেলা করে সময়ের নামায অসময়ে বিলম্ব করে পড়ছে,এমনটি অনেক গুনাহের কাজ। 


✓ যোহরের ওয়াক্ত

দ্বিপ্রহর থেকে সূর্য যখন একটু পশ্চিম দিকে হেলে যায় তখন যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। এবং প্রতিটা জিনিসের আসল ছায়া ব্যতীত তার ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত যোহরের ওয়াক্ত থাকে। জুম‘আ আর যোহরের নামাযের ওয়াক্ত এক ও অভিন্ন। (আল বাহরুর রায়েক ১/৪২৩)


ঠিক দুপুরে প্রত্যেক জিনিসের ছায়া যে পরিমাণ থাকে তাকে ঐ জিনিসের আসল ছায়া বলা হয়। কোনো কোনো ইমামের মতে আসল ছায়া ছাড়া প্রত্যেক জিনিসের ছায়া যখন একগুণ হয়ে যায় তখনই যোহরের সময় হয়ে যায়। হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়া এমন না। তাই একান্ত অপারগতা ছাড়া এই মতের উপর আমল করা যাবে না।


✓ যোহর ও জুম‘আর নামাযের উত্তম সময়

শীত কালে যত তাড়াতাড়ি যোহরের নামায পড়া যায় তত ভাল। গরমের দিন এক মিছিলের শেষ চতুর্থাংশে পড়া ভাল। তবে জুম‘আর নামায সব মৌসুমে তাড়াতাড়ি পড়া উত্তম। (আল বাহরুর রায়েক ১/৪২৯)


✓ জুম‘আর নামাযের উত্তম সময়

যখন যোহরের সময় হবে তখন সাথে সাথে আযান হবে এবং তখনই মসজিদে রওনা করা জরুরী হয়ে যাবে। তিনটি জিনিস এক সাথে হবে: 

১. ওয়াক্ত হওয়া 

২. আযান হওয়া 

৩. মসজিদে রওনা হওয়া। 

তারপর ১৫/২০ মিনিট  বা সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা বয়ান হবে। বয়ান চলাকালীন যাদের উযূ প্রয়োজন তারা উযূ করে নিবে। বয়ান শেষে জুম‘আর দ্বিতীয় আযান হবে। আযান শেষ হলে খুতবা তারপর ফরয নামায হবে। 


সাধারণত শীতকালে দিন ছোট হওয়ার কারণে একটু আগে ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়। সর্বোচ্চ দুপুর সোয়া একটা থেকে দেড়টার মধ্যে পুরো নামায শেষ হয়ে যাওয়া উত্তম। যেহেতু জুম‘আর আগে বয়ানের জন্য দীর্ঘ সময় পাওয়া যায় না তাই নামায শেষে পুনরায় দ্বীনী বয়ান বা মাসআলা মাসায়েলের আলোচনা হতে পারে। এই নিয়ে শুরুর সম সময় নষ্ট না করা ভালো।


✓ জুম‘আর নামায

জুম‘আর নামায মোট বার রাকা‘আত। জুম‘আর আগে চার রাকা‘আত, ফরয দুই রাকা‘আত, জুম‘আর পরে চার রাকআত, ওয়াক্তিয়া সুন্নাত দুই রাকা‘আত। 


হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম মে‘রাজ থেকে এসে নামাযের প্রাকটিক্যাল ট্রেনিং, নামাজের সময় এসব কিছুই সাহাবাদের রা. যোহরের সময় জানালেন। ফজরের সময় যেহেতু সকলকে একত্র করা কঠিন ছিল, তাই সব কিছু যোহর থেকে শুরু করলেন। এজন্য হাদীসের কিতাবেও নামাযের ওয়াক্তের বর্ণনা যোহর থেকে শুরু করা হয়েছে।



No comments

Powered by Blogger.