আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং বৃষ্টি অথবা অতি-বৃষ্টির দোয়া
বান্দা যখন আল্লাহকে ডাকে, আল্লাহর কাছে দু‘আ করে, আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দেন। তার দু‘আ কবুল করেন। তার প্রতি সন্তুষ্ট হন। তার গুনাহ ক্ষমা করেন। তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। তার ভালো আশা গুলো পূরণ করেন। হাদীস শরীফে এসেছে, তোমরা আমার কাছে দু‘আ করো, আমি তোমাদের দু‘আ কবুল করব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকবে (অর্থাৎ, আমার কাছে দু‘আ করার ব্যাপারে অহংকার করবে) তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। সূরা মু’মিন, আয়াত: ৬০
✓ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখলে পড়ার দু‘আ
اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اُرْسِلَ بِه
হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট ঐ সকল বস্তুর অনিষ্ট থেকে পানাহ চাচ্ছি, যাকে এ মেঘ বহন করে এনেছে। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস:-৩৮৮৯
✓ মেঘের গর্জন শুনলে পড়বে
اَللّٰهُمَّ لَا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلَا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذٰلِكَ
হে আল্লাহ! দয়া করে তুমি আমাদেরকে তোমার গযবের দ্বারা মৃত্যু দিওনা এবং তোমার আযাব দ্বারা ধ্বংস করিও না। বরং এর পূর্বেই আমাদেরকে শান্তি ও নিরাপত্তা দান করো। সুনানে তিরমিযী, হাদীস: ৩৪৫০
✓ প্রচন্ড ঝড়-বাতাসের সময় পড়ার দু‘আ
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْاَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيْهَا، وَخَيْرَ مَا اُرْسِلَتْ بِه، وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيْهَا، وَشَرِّ مَا اُرْسِلَتْ بِه
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এই বাতাসের কল্যাণ ও এর মধ্যে যা আছে তার কল্যাণ এবং যা সহ তা প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ চাচ্ছি। আর তোমার কাছে এর অনিষ্ট থেকে এবং এর মধ্যে যা আছে তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। সহীহ মুসলিম, হাদীস:-৮৯৯
✓ বৃষ্টির সময় পড়ার দু‘আ
اَللّٰهُمَّ صَيِّبًا نَّافِعًا
হে আল্লাহ! (এই বৃষ্টিকে) কল্যাণকর, বরকতপূর্ণ এবং উপকারী বানিয়ে দাও। সহীহ বুখারী, হাদীস: ১০৩২
✓ অতি-বৃষ্টির সময় পড়ার দু‘আ
اَللّٰهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا
হে আল্লাহ! এ বৃষ্টি আমাদের আশে-পাশে (যেখানে প্রয়োজন) বর্ষণ কর এবং আমাদের উপর বর্ষণ করিও না। সহীহ বুখারী, হাদীস: ১০২০
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,নিশ্চয় মানুষ রিযিক থেকে বঞ্চিত হয় তার কৃত গুনাহের কারণে, দু‘আই কেবলমাত্র তাকদীরকে পরিবর্তন করতে পারে আর নেক কাজই একমাত্র হায়াত বৃদ্ধি করতে পারে। মুসনাদে আহমাদ, হাদীস: ২২৩৮৬
No comments