মহা-কৃপণ

 
great-miser-super-story



এক কৃপণ ব্যক্তি ভোরে ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠে ওযু ইস্তেঞ্জা করার জন্যে মোমবাতি জ্বেলেছে। নামাযের প্রস্তুতি শেষ করে রওয়ানা হয়েছে মসজিদের দিকে। মসজিদে প্রবেশ করতেই তার মনে হলো- আরে, মোমবাতিটা তো নিভিয়ে আসিনি। কাউকে বলেও আসিনি। 


বাসায় অবশ্য ছোট ছেলেটা আছে। কিন্তু তার যে আক্কেল; তাতে সে নেভাবে বলে মনে হয় না। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো নামাযের আরো দশ মিনিট বাকী। নামায পড়তে লাগবে কমপক্ষে দশ মিনিট। বাসায় ফিরতে পাঁচ মিনিট। এই পঁচিশ মিনিটে মোমবাতির আয়ু শেষ হয়ে যাবে। 


ভেবে ভেবে তার শরীর ঘেমে উঠলো। নাহ, নামাযের আগেই বাসায় গিয়ে মোমবাতি নিভিয়ে আসতে হবে। ভেবে আর দেরি করলো না সে। রওয়ানা হয়ে গেলো বাসার দিকে। বাবাকে এতো তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে দেখে ছেলে আশ্চর্য হয়। কী ব্যাপার বাবা, নামায শেষ? বাবা উত্তর দেয়, ‘নামায শেষ হয়নি। 


মোমবাতিটা নেভানোর জন্যে আসতে হলো’।ছেলে বিরক্ত হয়ে বলে, মোমবাতির চিন্তায় ফেরত এলে। তুমি বের হওয়ার সাথে সাথেই তো আমি সেটা নিভিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এর থেকেও দরকারি আরেকটা বিষয়ের প্রতি কি তুমি লক্ষ করেছ? বাবা প্রশ্ন করে ‘কোন বিষয়ের কথা বলছিস?’ 


ছেলের কুঞ্চিত ভ্রু আরো কুঞ্চিত হয়। বলে, ‘বাবা, মোমবাতি নেভানোর জন্যে তোমার এই অনর্থক ফেরত আসায় যে কতটুকু জুতা ক্ষয় হয়ে গেলো সেটার কথা চিন্তা করেছ? বাবার মুখে বিজয়ের হাসি। 


বলেন, ‘তোর বাপ আমি। আমি কি তোর চেয়ে কম বুঝি? দেখ তো আমার জুতা কোথায় আছে? ছেলে বাবার দিকে ভালো করে লক্ষ করে আশ্বস্ত হয়। নাহ্, তার বাবা ভুল করেননি। মসজিদ থেকে ফেরত আসার সময় ঠিকই জুতাজোড়া বগলে তুলে নিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.