হযরত ইবনে আ’ব্বাস রদিয়াল্লহু আ’নহুমা শৈশবেই কুরআন হিফয করার শিক্ষণীয় ঘটনা



Islamic story


হযরত ইবনে আ’ব্বাস রদিয়াল্লহু আ’নহুমা 


শৈশবেই কুরআন হিফয করার শিক্ষণীয় ঘটনা  

স্বয়ং হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে আ’ব্বাস রদিয়াল্লহু আ’নহুমা বলেন, আমার কাছে তাফসীর জিজ্ঞাসা কর। আমি বাল্যকালে কুরআন শরীফ হিফয করিয়াছি। অপর এক হাদীসে আছে, আমি দশ বছর বয়সে সর্বশেষ মঞ্জিল পড়িয়া ফেলিয়াছিলাম। (বুখারী, ফাতহুল বারী)


|●| ঘটনাবলী 
ঐ যামানার শিক্ষা এরূপ ছিল না, যেমন এই যামানায় আমাদের ভিন্ন ভাষাভাষীদের রহিয়াছে। বরং যাহা কিছু পড়িতেন উহা তাফসীর সহকারে পড়িতেন। এইজন্য ইবনে আ’ব্বাস রদিয়াল্লহু আ’নহুমা তাফসীরের বহু বড় ইমাম হইয়া ছিলেন। কেননা বাল্যকালে মুখস্থ বিষয় খুব ভালরূপে মনে থাকে। তাই তাফসীর সম্পর্কে হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে আ’ব্বাস রদিয়াল্লহু আ’নহুমা থেকে যত হাদীস বর্ণিত হইয়াছে, অন্যদের হইতে উহার চেয়ে অনেক কম বর্ণিত হইয়াছে। হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে মাসঊ’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু বলেন, কুরআন শরীফের সর্বশ্রেষ্ঠ মুফাসসির হইতেছেন ইবনে আ’ব্বাস রদিয়াল্লহু আ’নহুমা। আবু আ’ব্দুর রহ’মান রদিয়াল্লহু আ’নহু বলেন, যে সমস্ত সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম আমাদিগকে কুরআন শরীফ শিক্ষা দিতেন তাঁহারা বলিতেন,  সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহু রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম হইতে দশটি আয়াত শিখিতেন এবং এই দশ আয়াত অনুযায়ী ইলম ও আ’মাল না হওয়া পর্যন্ত অপর দশ আয়াত শিখিতেন না। (মুন্তাখাব কানযুল উম্মাল)


রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকালের সময় হযরত ইবনে আ’ব্বাস রদিয়াল্লহু আ’নহুমা এর বয়স ছিল তের বৎসর। এই অল্প বয়সে তিনি তাফসীর ও হাদীস জ্ঞানে যে স্থান লাভ করিয়াছিলেন তাহা সুস্পষ্ট কারামত ও ঈর্ষাযোগ্য বিষয়। তিনি তাফসীরের ইমাম ছিলেন। বড় বড় সাহাবীগণ রদিয়াল্লহু আ’নহুম তাঁহার নিকট তাফসীর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিতেন।

অবশ্য ইহা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের দুআর বরকত ছিল। একবার রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ইস্তেঞ্জায় তাশরীফ লইয়া গেলেন। ইস্তেঞ্জা হইতে ফিরিয়া দেখিলেন, লোটা ভরা পানি। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন ইহা কে রাখিয়াছে? উত্তরে বলা হইল, ইবনে আ’ব্বাস (রদিয়াল্লহু আ’নহুমা) রাখিয়াছেন। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এই খিদমত ভাল লাগিল এবং দুআ করিলেন যে, আল্লহ তায়া’লা তাহাকে দ্বীনের জ্ঞান ও কুরআনের বুঝ দান করুন। ইহার পর একবার রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নফল নামায পড়িতেছিলেন। তিনিও নিয়ত বাঁধিয়া তাঁহার পিছনে দাঁড়াইয়া গেলেন। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাকে হাত ধরিয়া টানিয়া বরাবরে দাঁড় করাইলেন। 

কেননা মুক্তাদী একজন হইলে ইমামের বরাবর দাঁড়ানো চাই। অতঃপর রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযে মশগুল হইয়া গেলেন। তিনি খানিকটা পিছনে সরিয়া দাঁড়াইলেন। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নামায শেষে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি উত্তরে বলিলেন, আপনি আল্লহর রসূল, আপনার বরাবর আমি কিরূপে দাঁড়াইতে পারি। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ইলম ও দ্বীনী সমঝের জন্য দুআ করিলেন। (ইসাবাহ)
সূত্র:ফাজায়েলে আমাল
THANK YOU ALL
A N I ________

No comments

Powered by Blogger.