যানবাহনে মামলা এবং জরিমানা
যানবাহনে মামলা এবং জরিমানা
যানবাহন চলাচলে আমরা সকলেই জেনে নাজেনে ভুল করে থাকি। প্রচলিত আইনে এর সাজা হয়ে থাকে। কিন্তু সাজার চেয়ে অনেক বেশি হয়রানি হতে হয় নিয়ম না জানার কারণে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আইনকে আইনের ভাষায় মোকাবেলা করতে হবে। আপনার জরিমানা যদি হয় এক হাজার টাকা, আপনার হয়রানি হবে দশ হাজার টাকার, শুধুমাত্র নিয়ম না জানার কারণে। তাই নিময় গুলো জেনে রাখুন।
|◆| ব্যাংক/মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ
মামলার জরিমানা আদায়ের টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লি. (ইউসিবিএল)-এর ঢাকাস্থ যেকোনো শাখায় অথবা ইউ ক্যাশ সেবার মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন। নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর সঠিক থাকা সাপেক্ষে আপনার গাড়ির কাগজপত্র সুন্দরবন কুরিয়ারের মাধ্যমে ঠিকানা অনুযায়ী প্রেরণ করা হবে।
|◆| ওয়ারেন্ট
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না করা হলে ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা প্রেরণ করা হয়। আদালত থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যুর পর পুলিশ কর্মকর্তাগণ রাস্তায় সংশ্লিষ্ট গাড়িটি আটক করে এবং ওয়ারেন্ট ইস্যুর পর গাড়িটি ছেড়ে দেয়।
|◆| ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি
ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তির কাজটিও কঠিন নয়। ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তির পর ওয়ারেন্ট নম্বরটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্টে হাজির হয়ে এজঙ-এর মাধ্যমে কিছু আনুষ্ঠানি -কতা সম্পন্ন করতে হয়।
|:■:| যানবাহনের মামলা হলে আপনার করণীয়
যেকোনো আইন ভঙ্গের জন্য মামলা হতে পারে। ডকুমেন্টারি বা অন্য কোনো কারণে মোটরযান আইনে মামলা হলে সেটা বিশেষ উদ্বেগজনক কিছু নয়। ঢাকা শহরে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের চারটি জোন বা এলাকা (পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ) আছে। একজন ডেপুটি কমিশনার (ডিসি ট্রাফিক) প্রতিটি জোনের দায়িত্বে আছেন।
যেকোনো মামলার ক্ষেত্রে আগে বিবেচনা করতে হবে সেটি কোন এলাকার আওতাভুক্ত, কোন ট্রাফিক বিভাগের অধীনে মামলা হয়েছে, সেটা জরিমানা করার সময় যে টিকেট দেওয়া হয় তার পেছনে লেখা থাকে। সংশ্লিষ্ট জোনের ডেপুটি কমিশনারের দপ্তরে গিয়ে কিছু দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন এর মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করা যায়।
এক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে জরিমানা প্রদান করতে হবে। বিচারক অথবা ডিসি ট্রাফিক জরিমানার অঙ্ক নির্ধারণ করেন। জরিমানা নির্ধারণকারী পূর্ণ জরিমানার ৪ ভাগের ১ ভাগ পর্যন্ত জরিমানা করতে পারেন, এমনকি মওকুফও করতে পারেন। জরিমানা প্রদানের পরপরই জব্দ হওয়া ডকুমেন্ট বুঝে নেওয়া দরকার।
No comments