রমযান মাসের মহত্ত্বা

রমযান মাসের মহত্ত্বা 

The significance of the month of Ramadan


রমযান মাস অত্যন্ত সাওয়াব এবং মহত্ব মাস। এই মাসে নেক আমলের শেষ নেই, নেকির‌ও শেষ নেই। এই মাসে প্রতিটি নেক আমলের জন্য তার সাওয়াব সাত থেকে সত্তর গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে এই রহমতের মাস সবার জীবনে বারবার আসুক, এটাই হোক সকলের মাকসাদ। আল্লাহ যেন প্রতিটি মানুষকে তার পরকালের জীবনের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করার তৌফিক দান করুন।

রমযান মাসের মহত্ত্বা
|◆| তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখবে চাঁদ দেখে ঈদ করবে। 
-বুখারী ও মুসলিম
|◆| রমযান মাসে উমরা করা হজ্জের সমতুল্য।
–বোখারী ও মুসলিম।
|◆| তোমরা রমজানের শেষ দশের বেজোড় রাত সমূহে শবে কদর অন্বেষণ করো।–বোখারী
|◆| তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রমজান মাস পাবে, সে যেন রোযা রাখে। 
-সুরা বাক্কারা১৮৫
|◆| যে ব্যক্তি রমজান মাসে রাতে জেগে নামায আদায় করবে আল্লাহ তার পিছনের গুনাহ মাফ করে দিবেন। 
-বোখারী ও মুসলিম
|◆| মানুষ কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যাবত বিলম্ব না করে ইফতার করবে এবং শেষ সময়ে সাহরী খাবে। 
-বোখারী ও মুসলিম।
|◆| তিন ব্যক্তির দু’আ ফিরিয়ে দেওয়া হয়না। তার মধ্যে একজন, রোযাদার ব্যক্তি-ইফতারের আগ পর্যন্ত।
-তিরমিযি আহমদ ইবনে খুযাইমা ও ইবনে হিব্বান।

|◆| যে ব্যক্তি (রোযা রেখে) মিথ্যা কথা ও কাজ পরিত্যাগ করলো না, তার উপবাস থাকায় আল্লাহর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। 
-আহমদ আবু দাউদ তিরমিযি।
|◆| কেউ তাকে (রোযাদারকে) গালি দিলে বা ঝগড়া করলে সে যেন বলে আমি রোযাদার।
-বোখারী ও মুসলিম।
|◆| যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, তাকে রোযাদারের সম পরিমাণ সাওয়াব দেওয়া হবে। তবে রোযাদারের সাওয়াবে কোন কর্তন করা হবে না।-তিরমিযি
|◆| সকলের মধ্যে আল্লাহর রাসুল ছিলেন সবচেয়ে দানশীল আর তিনি রমযানে অধিক দানশীল হতেন, যখন তার কাছে জিবরাঈল (আঃ) আগমন করতেন।
-বোখারী ও মুসলিম।
|◆| আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রোযা রেখে মিসওয়াক করতে দেখেছি। তার সংখ্যা গুনে আমি শেষ করতে পারবো না। -বোখারী

|◆| আল্লাহর রাসুল (রমযানের) শেষ দশকে (ইবাদতে) যে পরিমাণ পরিশ্রম করতেন অন্য কোন সময় তা করতেন না। শেষ দশক এলে তিনি কমর বেঁধে নিতেন, রাত জাগতেন এবং পরিবারের লোকদের জাগিয়ে দিতেন।
|◆| আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যু পর্যন্ত রমযানের শেষ দশে ই’তিকাফ করতেন। -বোখারী ও মুসলিম
|◆| আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকাতুল ফিতর ধার্য করেছেন রোযাদারের অনর্থকতা ও পাপাচার থেকে পবিত্র করার জন্য এবং মিসকিন ব্যক্তিদের খাদ্য হিসেবে। যে ব্যক্তি তা ঈদের নামাযের পূর্বে আদায় করবে তা গ্রহণযোগ্য এবং যে ব্যক্তি ঈদের নামাযের পরে আদায় করবে তা সাধারণ সাদকা বলে গণ্য হবে।– আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ।

|◆| আর (এই মাসে) অনেক লোককে আল্লাহ তা’আলা জাহান্নাম হতে মুক্ত করেন। আর তা প্রতি রাতে।
–সহীহ ইবনে খুযাইমাহ আহমদ ও ইবনে মাজাহ। 
অন্য হাদীসে এসেছে- আল্লাহর রাসুল বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান পেল অথচ তার গুনাহ মাপ হয়নি, অত:পর জাহান্নামে প্রবেশ করলো…। ইবনে হিব্বান ইবনে খুজাইমাহ বাইহাকী ও সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব।
|◆| রমযানের প্রথম রাতে একজন ঘোষক ঘোষণা দেয়, হে সৎ কর্মেচ্ছুক, অগ্রসর হও, হে মন্দ কর্মেচ্ছুক, বিরত থাক। 
-তিরমিযি ইবনে মাজাহ।
|◆| তোমাদের উপর রোযা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। -বাকারা ১৮৩


No comments

Powered by Blogger.