ইসলামের নামে ভ্রান্ত আক্বীদা ছড়ানো হচ্ছে, সাবধান!


false-beliefs-are-being-spread-name-Islam-beware



পবিত্র কুরআন পাকে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, নিশ্চয়ই এটি আমার সরল পথ। অতএব, তোমরা এ পথে চলো। খবরদার! অন্যান্য পথ অবলম্বন করো না। অন্যথায় সে সব পথ তোমাদেরকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা সংযত ও সর্তক হও। সূরা আনআম, আয়াত-১৫৩


নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই বনী ইসরাঈল ৭২ ফিরকায় বিভক্ত হয়েছিল, তেমনিভাবে আমার উম্মত ৭৩ ফিরকায় বিভক্ত হবে। একটি জামা‘আত ব্যতীত তাদের সকল ফিরকাই জাহান্নামী হবে। সাহাবায়ে কিরাম রাযি. প্রশ্ন করলেন, সেই জামা‘আত কোনটি? নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাব দিলেন, আমি ও আমার সাহাবীগণের তরীকার ওপর যারা থাকবে। তিরমিযী খণ্ড-২


আজ একথা প্রমাণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ভবিষ্যদ্বাণী প্রতিফলিত হয়ে গেছে। আজ উম্মতের মধ্যে বহু গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট দলের উদ্ভব হয়েছে। এদের কোনোটা সুস্পষ্ট কুফরী আক্বীদা অবলম্বন করার কারণে দ্বীন ও ঈমানের গণ্ডি থেকে সম্পূর্ণভাবে খারিজ হয়ে কাফির সাব্যস্ত হয়েছে। 


আর কোনোটা পথচ্যুত, গোমরাহ ও বিদ‘আতী। তারা কাফির না হলেও নিশ্চিত ভাবে সুন্নাতী জামা‘আত বা হক্বের গণ্ডি থেকে বের হয়ে গেছে। এইরূপ কোনো ব্যক্তি আক্বীদার ত্রুটির কারণে জাহান্নামী হবে না, তবে আমলের ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে জাহান্নামী হতে পারে। আর অবশিষ্ট বাতিল ফিরকাসমূহ আক্বীদা ও আমল উভয় প্রকার ক্রুটির কারণে জাহান্নামী হবে।


নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম'এর  ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবে প্রতিফলন হয়েছে। তিনি যে সহীহ ঈমান ও আক্বীদা উম্মতের সামনে পেশ করেছিলেন এবং সাহাবায়ে কিরাম রাযি. কে তৈরী করেছিলেন, পরবর্তীতে মুসলমান নামধারী অনেক লোক নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য, মুসলমানদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য সহীহ আক্বীদাসমূহকে পরিবর্তন করে ফেলেছে। 


ভ্রান্ত আর মন গড়া আক্বীদার প্রচার-প্রসার ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একটি ভবিষ্যদ্বাণী লক্ষণীয়, তিনি বলেছেন যে, শেষ জামানায় অনেক দাজ্জাল কায্যাবের আবির্ভাব ঘটবে, তারা দ্বীনের নামে এমন অনেক কথা প্রচার করবে, যা তোমরা এবং তোমাদের বাপ-দাদারা কোনো দিন শোননি। তোমরা তাদের থেকে সাবধান থাকবে, যাতে তারা তোমাদের গোমরাহ না করে ফেলে। মুসলিম শরীফ। খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ৯


প্রত্যেক যুগেই অনেক মূর্খ লোকেরা ইসলামের নামে নতুন নতুন ভ্রান্ত আক্বীদা গ্রহণ করে দ্বীন-ঈমান নষ্ট করেছে। আপনার আশেপাশের অবস্থা আপনি নিজেই বিবেচনা করুন। আগের তুলনায় বর্তমান যুগে ফিতনা অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকাংশ লোক ধর্মীয় জ্ঞানের ব্যাপারে অজ্ঞ কিন্তু তাঁরা হরহামেশাই ধর্মীয় অনুষ্ঠান সভা সমাবেশ করে আসছে। 


No comments

Powered by Blogger.