জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে শীর্ষে এখন বাংলাদেশ
জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে শীর্ষে এখন বাংলাদেশ
পিএইচপি শিপ ব্রেকিং রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিংকু বলেছেন, ‘নতুন বাজেটে
ভ্যাট ও এটিভি (অগ্রিম ভ্যাট) আরোপের কারণে আমরা
ভারতের চেয়ে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছিলাম। লোহার
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সেই ধাক্কা কাটিয়ে এখন জাহাজ ভাঙায় শীর্ষে উঠলাম।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্বের জাহাজ ভাঙা শিল্পে আশির দশকে নেতৃত্বে ছিল তাইওয়ান। নব্বইয়ের দশকে তাইওয়ানের সঙ্গে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া এই খাতে নেতৃত্বে উঠে আসে। এর পরের দুই দশকে ভারত ও চীন ছিল জাহাজ ভাঙায় শীর্ষে। এক দশক ধরে এই দুই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও প্রায় সময়ই শীর্ষস্থানে উঠে আসে।
আংকটাডের প্রতিবেদন বলছে, পরিবেশদূষণ কমাতে চীন বাইরে থেকে পুরনো জাহাজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ এখন জাহাজ ভাঙার বড় বাজার হয়ে উঠছে। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশে লোহার কাঁচামালের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় জাহাজ ভাঙার পরিমাণ বেড়েছে।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর- এই ৯ মাসে ১৯৭টি জাহাজ ভাঙা হয়েছে চট্টগ্রামের সাগর উপকূলজুড়ে গড়ে ওঠা শিপইয়ার্ডে। বিশ্বে ওই সময়ে জাহাজ ভাঙা হয়েছে ৫৮২টি; সে হিসাবে ৩৪ শতাংশ জাহাজ ভাঙা হয়েছে চট্টগ্রামে। জানা গেছে, ২০১৯ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ জাহাজ ভাঙা হয়েছে বাংলাদেশে; জাহাজের সংখ্যা ও ওজনের দিক থেকেও শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। জাহাজ ভাঙার দিক থেকে বাংলাদেশ ২০১৭ ও ২০১৮ সালেও শীর্ষে ছিল।
তালিকায় এবারও শীর্ষে উঠেছে বাংলাদেশ। গত বছর
একই সময়ের হিসাবে বাংলাদেশ ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে।
ভারত ছিল প্রথম।এ বছর দ্বিতীয় স্থানে আছে থাকা ভারত
জাহাজ ভেঙেছে প্রায় ২৭ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান
ভেঙেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে থাকা তুরস্ক জাহাজ
ভেঙেছে সাড়ে ১১ শতাংশ।
No comments