শিশুর বিকাশ এবং পিতামাতার কর্তব্য
Child development and parental duties
শিশুর বিকাশ এবং পিতামাতার কর্তব্য
প্রতিটি পিতামাতার উচিত শিশুকাল থেকেই সন্তানের বিকাশে কাজ করা।
হোক সেটা মেধা বিকাশ, শারীরিক বিকাশ, আচার আচরণ এর বিকাশ যাই হোক তার শিশুকাল থেকেই নিশ্চিত করতে হবে। একটি শিশু সঠিক ভাবে পরিপূর্ণ বিকাশ শিশুকাল থেকেই পেয়ে থাকে। তাই সন্তানের সুস্থতা আর বিকাশ ঘটাতে আরো সচেতন হতে হবে। সবকিছুর উর্ধ্বে শিশুর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
|■| শিশুর বিকাশের উপায়
কিশোর-কিশোরীদের জন্য পুষ্টি ও সুষম খাদ্য শারীরিক ও তার মানসিক বিকাশের জন্য একান্ত দরকার। বিশেষজ্ঞদের বহু বছরের গবেষণায় উঠে আসা পরামর্শ গুলো তুলে ধরা হলো। আপনার সচেতনতাই আপনার শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
৷●৷ ছোট শিশুদের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। কোন ধরনের অবহেলা না করে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। মায়ের দুধ শিশুর স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির জন্য অনন্য ভুমিকা পালন করে।
৷●৷ অনেক গবেষক মনে করেন, দুধের সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে প্রতি সকালে খাওয়ানো যেতে পারে। এতে আপনার শিশু সঠিক পরিমাণে দুধের সাথে বাদামের পুষ্টিও পাবে।
৷●৷ তরতাজা ফলমূল খাওয়াতে হবে। প্রতিদিনের স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে রঙ্গিন ফলমূল খাওয়াতে হবে যেমন, আম, পেঁপে, পেয়ারা, তরমুজ ইত্যাদি বেশি বেশি খাওয়াতে হবে।
৷●৷ শিশুর আয়রণ ও জিংক ঘাটতি থাকলে স্মরণশক্তির সমস্যা থাকতে পারে। সেদিকে খেয়াল রেখে জিংক ও আয়রন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে খাইয়ে যেতে হবে।
৷●৷ ওমেগা ও ফ্যাটি এসিড বুদ্ধি ও স্মরণশক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে। অতএব ওমেগা ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। এগুলো বেশি খাওয়ালে আপনার শিশুর বিকাশ বৃদ্ধি পাবে।
৷●৷ পরিমিত ঘুম খুবই প্রয়োজন। এইজন্য পরীক্ষা চলাকালীন সারা রাত জেগে পড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। রুটিন মতো পড়াশোনাই হবে উত্তম। পড়ালেখার পর বিশ্রামে স্মরণশক্তি বাড়ায়।
৷●৷ পরিমিত ব্যায়াম শিশুর স্মরণশক্তি বাড়ায়। বড় বড় করে বাচ্চা শ্বাস নিলে তাতে ব্রেনের থিটা ওয়েব বেশি হবে। ব্রেনে অক্সিজেন বেশি সঞ্চালন হয় এবং বাচ্চাদের স্মরণশক্তি বাড়ে।
৷●৷ জিরোসুগার চুইংগাম কিছুক্ষণ চিবাতে পারে এতে ব্রেনে অক্সিজেন সঞ্চালন হয়। খুব টেনশন হলে নিয়মিত মেডিটেশন করাতে হবে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল খারাপ হলে বকাঝকা করা যাবে না।
No comments