সূরা ফাতিহা'র পাঠ এবং ফযীলত

recitation-and-virtues-surah-fatiha




পবিত্র কোরআন শরীফের ১১৪টি সূরার মধ্যে সূরা ফাতিহা সর্ব প্রথম সূরা কিন্তু সূরা ফাতিহা সর্ব প্রথম অবতীর্ণ সূরা নয়। ফযীলতের দিক থেকে সবচেয়ে বড় সূরা এটি। বলা হয় সমস্ত কোরআন এর ব্যাখ্যা সূরা ফাতিহা'র মধ্যেই রয়েছে। সূরা ফাতিহা'র পাঠ অত্যন্ত শ্রুতিমধুর। 


সূরা ফাতিহা প্রতি নামাযের মধ্যে পাঠ করা হয়, এই জন্যই সূরা ফাতিহা সবচেয়ে বেশি পাঠ করা সূরা। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের প্রতিটি রাকাআতে পুরো পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানগন পাঠ করে থাকেন। আজ আলোচনা করা হবে সূরা ফাতিহা'র পাঠ এবং ফযীলত সম্পর্কে। 


★ সূরা ফাতিহা'র পাঠ

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِرَبِّالْعٰلَمِیْنَ ۙ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِ ؕ﴿۳﴾اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُ ؕ﴿۴﴾اِهْدِنَاالصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ۙ﴿۵﴾صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ۬ۙ۬غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْوَلَا الضَّآ لِّیْنَ ۠﴿۷﴾

★ সূরা ফাতিহা'র ফযীলত

খাজিনাতুল আসরার কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ফজরের সুন্নত নামাজ আদায় করে ফরজ নামাজ আদায়ের আগে কেউ যদি বিসমিল্লাহসহ সূরা ফাতিহা ৪০ বার পাঠ করে তাহলে ওই ব্যক্তি নিঃসন্তান থাকলে সন্তান হবে, বেকার থাকলে চাকরি হবে, ঋণ থাকলে ঋণ পরিশোধের উপায় হয়ে যাবে, সম্পদহীন থাকলে সম্পদ লাভ হবে, অসুস্থ থাকলে সুস্থ হয়ে যাবে ও বিপদাপন্ন হলে উদ্ধার পেয়ে যাবে’। 


সূরা ফাতিহা'র অনেক মর্যাদা এবং ফযীলত রয়েছে, যা কোরআন হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে, আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, যার কুদরতী হাতে আমার জান রয়েছে,সূরা ফাতিহার মত সূরা তাওরাত, যাবুর, ইনজিল ও কুরআনের বাকি অংশের কোথাও নেই। তিরমিযী, হাদীস নং-২৮৭৫


সূরা ফাতিহা প্রতিটি নেক আমলের মধ্যেই পাঠ করা হয়, প্রতিটি নেক কাজের মধ্যে পাঠ করা হয়, মোনাজাত হতে শুরু করে কবর জিয়ারত এর মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠ করা হয়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বর্ণনা করেন যে, সূরা ফাতিহার ফযীলত সম্পর্কে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে কোন রোগের জন্য ঔষধ। দারিমী হাদীস নং-৩৪১৩


পবিত্র হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ঘুমানোর পূর্বে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস পাঠ করে নিজ শরীরে ফুঁক দিবে সে মৃত্যু ব্যতীত সকল মুসীবত থেকে নিরাপদ থাকবে। মুসনাদে বাযযার, হাদীস নং-৭৩৯৩


হজরত আলী রা: বলেছেন, কোনো বিপদে পতিত ব্যক্তি এক হাজার বার সূরা ফাতিহা পাঠ করলে ওই ব্যক্তির আর বিপদ থাকতে পারে না। হজরত ইমাম জাফর সাদেক রা: বলেছেন, ‘৪১ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে খাওয়ালে অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যাবে’।






No comments

Powered by Blogger.