হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) Human Papilloma Virus (HPV)

পেপস স্মেয়ার টেস্ট এর গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা 
Importance and necessity of peps smear test

Importance and necessity of peps smear test


খুব সাধারণ একটি পরীক্ষা। জরায়ুমুখ থেকে লালা নিয়ে আণুবীক্ষণিক (microscopic) যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষা দিয়ে ক্যানসার, ক্যানসার হওয়ার পূর্বাবস্থা ও জরায়ুমুখের অন্যান্য রোগ, যেমন প্রদাহ (ইনফ্লামেশন) শনাক্ত করা যায়। এতে কোনো ব্যথা হয় না। 


হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)
Human Papilloma Virus (HPV)
প্রায় দুই দশক আগে জরায়ুমুখের ক্যানসারের সঙ্গে হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি যোগসূত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। জরায়ুমুখের ক্যানসার একটি অন্যতম প্রধান কারণ (শতকরা ৭০ ভাগ)। তবে একমাত্র কারণ নয়। যৌন সংযোগে এর সংক্রমণ ঘটে। 


১০০ ধরনের এইচপিভি শনাক্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত। এগুলোর বেশির ভাগই (৭০%) জরায়ু ক্যানসারের জন্য তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে জরায়ু ক্যানসারের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ এইচপিভি শনাক্ত হয়েছে। 
✓ এইচপিভি-১৬
✓ এইচপিভি-১৮
✓ এইচপিভি-৬
✓ এইচপিভি-১১ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। 


হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসের (HPV) আক্রমণ হলেই যে ক্যানসারের সৃষ্টি হয়, তা কিন্তু নয়। স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত নারীদের জরায়ু প্রায়ই এইচপিভি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। এতে কোনো উপসর্গ থাকে না। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবলে ১৮ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে জরায়ু প্রায় সব এইচপিভিমুক্ত হয়ে যায়। কেবল জরায়ুতে এইচপিভি দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে, জরায়ু কোষে পরিবর্তনের সূচনা করে। 


অতি ঝুঁকিপূর্ণ এইচপিভি আক্রান্ত হলে 
✓ জরায়ুমুখ
✓ জরায়ুপথ 
✓ পায়ুপথ এবং সংলগ্ন স্থানে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। 

পেপস স্মেয়ার টেস্ট এর খরচ অনেক কম। সাধারণত বিবাহিত নারীদের ২১ বছরের পর থেকে এ টেস্ট শুরু করা যেতে পারে। ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি তিন বছর পর পর এ টেস্ট করা উচিত। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে এ রুটিনের পরিবর্তন হতে পারে।


যেসব বিষয় জরায়ুতে এইচপিভির স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়
✓ ধূমপান ও তামাক পাতার ব্যবহার যেমন: পানের জর্দা, সাদা পাতা খাওয়া, গুল ব্যবহার
✓ দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন 
✓ অপুষ্টি বা পুষ্টিহীনতা
✓ ঘন ঘন সন্তান ধারণ
✓ এইচ আই ভি (এইডস )
✓ জরায়ুতে অন্যান্য ইনফেকশন
✓ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। 


এইচপিভি টেস্ট করার জন্য আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন আছে। ৩০ বছরের কম বয়সী নারীদের এ টেস্ট করা হয় না। কারণ, কম বয়সীরা প্রায়ই এইচপিভি আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং স্বাভাবিক নিয়মে শরীর ভাইরাস মুক্ত হয়ে যায়। এইচপিভি টেস্ট তাদের অহেতুক ভীতির সৃষ্টি করতে পারে।



No comments

Powered by Blogger.