জায়গা -জমির খাজনা প্রদানের সুবিধা

Facility of payment of land Khazna 


Facility of payment of land Khazna



সরকারি কাজে অবহেলা করছি, আমরা জনগণ, শহর গ্রাম, ধনি গরিব, শিক্ষিত মূর্খ সকলেই। কিন্তু আমরা জানিই না যে এতে আমাদের কি পরিমান ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের ক্ষতি তো হচ্ছেই। আমাদের সকলকেই আরো অনেক অনেক সচেতন হতে হবে। 


বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন। ফলে আইনি বিষয় সম্বন্ধে প্রায় অজ্ঞ থাকার কারণে বিভিন্ন বিষয় অবহেলা করে থাকে, তার মধ্যে খাজনা প্রদান একটি। কিন্তু তারা জানে না যে, খাজনা প্রদান করলে কী কী সুবিধা তারা ভোগ করতে পারবে। খাজনা প্রদান করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। 


জায়গা -জমির খাজনা প্রদানের সুবিধা 
✓ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের ফলে যে দাখিলা পাওয়া যায় তা মালিকানা প্রমাণের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।
✓ ভূমি উন্নয়ন কর নিয়মিত প্রদান করলে রেকর্ড হাল নাগাদ (Up-to-date) থাকে।
✓ নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করলে দুষ্ট লোকেরা ভুয়া রেকর্ডের সুযোগ নিতে পারে না। অনেক সময় একজন আরেকজনের জমি গোপনে নামজারি/রেকর্ড করিয়ে নেয়। জমির মালিক নিজের জমির খোঁজ-খবর না রাখার কারণে ভুয়া নামজারি বা মিউটেশনের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে না।
✓ ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ থাকলে জমি নিলাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।


বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনার হার
কৃষি জমির ক্ষেত্রে (যোগসূত্র স্মারক নং ভূঃ মঃ/শা-৩/কর/ ১০০/৯২-১০৬ (১০০০) তারিখ ১৬/২/১৪০২ বাংলা মোতাবেক ৩০/৫/১৯৯৫ ইং তারিখে পাসকৃত সংশোধনী অনুযায়ী) 
✓ ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) মওকুফ করে দিয়েছে।
✓ ২৫ বিঘার অধিক হতে ১০ একর পর্যন্ত জমির জন্য প্রতি শতাংশ জমির জন্য ৫০ পয়সা করে।
✓ ১০ একরের ঊর্ধ্বে হলে প্রতি শতাংশ জমির জন্য ১ টাকা হারে খাজনা দিতে হবে।


✓ চা বাগান/রাবার বাগান/ফলের/ফুলের বাগানের ক্ষেত্রে 
চা বাগানে রাবার বাগান, আমবাগান অথবা ১ একরের ঊর্ধ্বে কোনো জমিতে ফলের বাগান কিংবা ফুলের বাগান থাকলে প্রতি শতাংশ জমির জন্য ১ টাকা ১০ পয়সা হারে খাজনা দিতে হবে।


✓ পল্লি এলাকার আবাসিক জমির ক্ষেত্রে 
পল্লি এলাকার বসবাসকারী কৃষি পরিবারের চাষের জমি এবং বসতবাড়ি কৃষি জমি হিসেবে গণ্য করে কৃষি হারে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করতে হবে (১৯৯০ সালের ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েলের ২৭ অনুচ্ছেদ মতে)। তবে পল্লি এলাকার পাকা ভিটির বাড়ির জন্য শতক প্রতি ৫/= হারে খাজনা দিতে হবে।


✓ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার আবাসিক জমির খাজনা 
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, মহানগরীর মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার আবাসিক জমির জন্য খাজনা শতক প্রতি ২২/= এবং জেলা সদরের (ঘনবসতি জেলা ব্যতীত) পৌর এলাকার জমির জন্য খাজনার হার শতক প্রতি ৭/= এবং অন্যান্য সকল পৌর এলাকার আবাসিক জমির জন্য কর শতক প্রতি ৬/= হারে দিতে হবে।


বাংলাদেশের সুনাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের কর্তব্য সময় মতো জায়গা জমির খাজনা আদায় করা। এতে করে দেশ স্বনির্ভর হবে, আপনার আমার সকলের সামগ্রিক উন্নতি হবে। দেশের একজন নাগরিক হয়ে দেশের কোন কাজেই অবহেলা করা উচিৎ নয়। 



No comments

Powered by Blogger.