এসি'র ঠান্ডায় ত্বকের যত্ন নিন

Take care of the skin in the cold of AC


Take care of the skin in the cold of AC

শীতকালে যেভাবে আপনার ঠোঁট ফাটে, গায়ে টান ধরে, ঠিক সেভাবেই এসিতে থাকার কারণে ত্বক শুকিয়ে যায়, ত্বকে টান ধরে। এসির ঠান্ডায় বাতাসের আর্দ্রতা একেবারেই থাকে না। এসি ঘরের শুকনো বাতাস আপনার ত্বক থেকে স্বাভাবিক আর্দ্রতা শুষে নিতে শুরু করে। একটানা এসির ঠান্ডা হাওয়ায় থাকতে থাকতে ত্বকের কোমলতা নষ্ট হয়ে গিয়ে হাত পা আর মুখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। এভাবে চলতে থাকলে মুখে অকালে সূক্ষ্ম রেখা দেখা দেয়, এতে তুলনামূলকভাবে বয়স্ক দেখায়।


এসির ঠান্ডার এতো খারাপ কথা শোনার পর এসির সাথে শত্রুতা করা তো যাবে না? বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে দেশে যেভাবে তাপমাত্রা বেড়েছে তাতে এসি ছাড়াও চলা মুশকিল। এরজন্য সমাধান তো লাগবেই!

তাই এসিতে থাকা মানুষের জন্য ইন্টারনেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ঘাঁটাঘাঁটি করে কিছু সমাধান বের করার চেষ্টা করেছি। কিছু সাধারণ গাইডলাইন মেনে চললে ত্বকের শুষ্কতা, বিবর্ণতা ও বলিরেখার মতো ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা অবশ্যই সম্ভব। চলুন জেনে নিই।


ঘরে এসি চালানোর নিয়ম 
একটানা নয় ঘণ্টার বেশি এসিতে থাকা উচিত নয়। ত্বকে সমস্যা দেখা দেবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,একটানা দুই তিন ঘণ্টার বেশি এসিতে না থাকা ভালো। বাসা বাড়িতে লাগাতার এসি চালিয়ে রাখবেন না। খুব গরম লাগলে তবেই এসি চালান। ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এলেই বন্ধ করে দেন। 


সরাসরি এসির হাওয়ায় ঘুমানো থেকে বিরত থাকুন। এসির হাওয়া সরাসরি গায়ে লাগলে শুধু ত্বকের সমস্যাই নয়,শ্বাসকষ্টের সমস্যা, সর্দিকাশি, এমনকি নিউমোনিয়ার মতো কঠিন রোগ‌ও হতে পারে। তাই দীর্ঘ সময় এসির হাওয়ায় বসে টেলিভিশন দেখা, পড়াশোনা করা, গৃহস্থালি কাজ থেকে বিরত থাকুন। নিজে সুস্থ থাকুন, পরিবারকে সুস্থ রাখুন। 


ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা যা, এসির তাপমাত্রাও তার কাছাকাছি রাখাই উচিত। আদর্শ তাপমাত্রা থাকবে 25 থেকে 27 ডিগ্রির মধ্যে। ঘাম আর তেল নিঃসরণের মাধ্যমে ত্বক বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে অভ্যন্তরীণ আর্দ্রতার মাত্রা বজায় রাখে। ঘরের তাপমাত্রা 25 থেকে 27 ডিগ্রির মধ্যে থাকলে ত্বক বিনা বাধায় কাজ করতে পারে।


অফিসে এসি চালানোর নিয়ম
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের কারণে ত্বকের যা ক্ষতি হয়, তা অফিস আর বাসা বাড়িতে এক‌ই সমান। তবে অফিসের তুলনায় বাসা বাড়িতে এর ক্ষতি প্রতিরোধ করা কিছুটা সহজ বলেই মনে করা হয়। অফিসে আপনি যে নয় দশ ঘন্টা কাজ করেন, তাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।


কেননা অফিসের এসি সকলের পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়, এদিকে শুধুমাত্র এসির জন্য আপনার চাকরি ছেড়ে দেয়াও সম্ভব নয়, তাই এমন কোন উপায় বের করতে হবে যাতে চাকরি বরাবর রেখেই ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই। 


১. ড্রয়ারে ময়েশ্চারাইজ়ার রাখুন 
আপনার অফিসে ডেস্কের ড্রয়ারে ময়েশ্চারাইজ়ারের বোতল রেখে দিন। প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর গন্ধহীন ময়েশ্চারাইজ়ার ভালো করে মেখে নিন। মুখ ছাড়াও হাত, কনুই, হাঁটু ও পায়ের পাতায় ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না। এতে আপনার শরীর সতেজ থাকবে। 


২. প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে 
মনে রাখতে হবে, ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। এসির ঠান্ডা আর শুষ্ক বাতাসে ত্বক, চুল অত্যন্ত শুকনো হয়ে যায়। তাই হারানো আর্দ্রতা পূরণ করার জন্য বেশি করে পানি খেতেই হবে। আপনার শরীরের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে পানিই সাহায্য করবে। 


৩. ফেনাহীন ক্লিনজ়ার ব্যবহার করুন
সাধারণ ফেসওয়াশের বদলে নিয়ে আসুন ফেনাহীন ক্লিনজ়ার। সাবান যুক্ত ক্লিনজ়ার ত্বকের রোমছিদ্র বড়ো করে দেয়, ফলে আর্দ্রতা দ্রুত শুকিয়ে যায়।তাই এসির এই শুষ্ক আবহাওয়ায় সাবান কিংবা সাধারণ ফেস‌ওয়াশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। 


এসিতে যাদের থাকতেই হয়, তাঁরা একটুখানি সচেতন হলেই অনাকাঙ্ক্ষিত রোগ বালাই থেকে রেহাই পেতে পারেন। এসিতে থাকার কারণে আপনার হঠাৎ করেই জ্বর, হাঁচি কাশি, গলা ব্যথা হতে পারে। তাই সাবধানতা এবং সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। উপরে উল্লেখিত আমাদের টিপস গুলো ফলো করে দেখতে পারেন,আশা করছি আপনার উপকারে আসবে। 



No comments

Powered by Blogger.