আরামদায়ক ঘুমের জন্য যা প্রয়োজন

All you need for a good night's sleep


আজকাল অর্থ কড়ির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে ঘুমটাই যেন সোনার হরিণ হয়ে গিয়েছে। শহর কিংবা গ্রাম ছুটছে মানুষ ক্লান্তিহীন। সারাদিনের ব্যস্ততার পর একটু আরামদায়ক ঘুমের জন্য শুরু হয় ঘরে ঘরে হাহাকার। ডাক্তার বলছে, অন্তত দৈনিক ছয় ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন নিদ্রা প্রয়োজন আপনার সুস্বাস্থ্য থাকার জন্য। এই জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। 


মুঠোয় মুঠোয় ঘুমের বড়ি খাওয়া কিছুতেই উচিত নয়। এটি সাময়িক আরাম দিলেও পরবর্তী সময়ে আরো ভোগান্তি বাড়াতে পারে। তাই স্থায়ীভাবে সমাধান প্রয়োজন এবং প্রাকৃতিকভাবে ঘুম আনয়ন করার চেষ্টা করতে হবে, তবেই আপনার লক্ষণীয় পরিবর্তন আসবে। 

যেমন আজ এমন কিছু প্রাকৃতিক পদক্ষেপ নিয়ে আমরা আলোচনা করবো, তা আপনার কাজে আসতে পারে। আপনি অবশ্যই ফরখ করে দেখবেন।
 

In this Article
আরামদায়ক ঘুমের জন্য যা প্রয়োজন 
✓ মন-মানসিকতা ফ্রেস রাখুন 
✓ ঘরের তাপমাত্রা চেক করুন 
✓ প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া
✓ একটুখানি ব্যায়াম করে নিন 
✓ ঘুমানোর ঘর শব্দ মুক্ত হতে হবে



✓ মন-মানসিকতা ফ্রেস রাখুন 
মনে অস্থিরতা কিংবা অশান্তি নিয়ে বিছানায় ঘুমাতে আসলে কখনোই ভালো ঘুম হবে না। এজন্যই বিছানায় আসার আগে মন মানসিকতা ফ্রেস করে আসুন। সারাদিনের সব জঞ্জাল থেকে নিজেকে পুরোপুরি মুক্ত করে ঘুমের ঘরে যাওয়া একান্ত আবশ্যক। 


✓ ঘরের তাপমাত্রা চেক করুন
রাতে আরামদায়ক ঘুম পেতে ঘুমানোর আগে ঘরের আবহাওয়া বা তাপমাত্রা চেক করতে ভুলবেন না। অতিরিক্ত গরমে ঘরের পরিবেশ যেমন পরিবেশ নষ্ট করে তেমনি ভাবে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা ঘরেও ঘুমানো যায় না। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘরের তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে রাখুন।


✓ প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া
আপনি যদি প্রতিদিন ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময় মেনে চলেন, তাহলে আপনাকে আর কষ্ট করে ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে হবেনা, ঘুমই সময় মতো আপনার চোখে চলে আসবে। যতোটা পারা যায় ঘুমের জন্য একটা সঠিক সময় মেনে চলা। 


✓ একটুখানি ব্যায়াম করে নিন 
ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি একটুখানি ব্যায়াম করে নিতে পারেন তাহলে রাতে আপনার ভালো ঘুম হতে বাধ্য। কারণ শারীরিক পরিশ্রমের কারণে শরীর কিছুটা দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে যাবে, আর তাতেই আপনার ঘুম ভালোভাবে আসবে। এজন্যই অল্প করে হলেও ব্যায়াম করে নিন। 

✓ ঘুমানোর ঘর শব্দ মুক্ত হতে হবে
আশেপাশে মোবাইল ফোন রাখবেন না। মোবাইলের শব্দ যতই কমানো থাকুক না কেন, রাতে অনেক জোরে শোনা যায় এবং ঘুম ভেঙে যায়।আমরা ঘুমিয়ে গেলেও আমাদের মস্তিষ্ক জেগে থাকে। ছোটখাট শব্দেও বিচলিত হয়ে উঠতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। 


পরিমিত ঘুম মানুষের জীবনের সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ। কোটি কোটি টাকা দিয়েও এক ঘন্টার ঘুম ক্রয় করা যায় না। একজনের ঘুম অন্য জনকেও দেওয়া যায়না। কাজেই অবহেলা করা উচিৎ নয়, শারীরিক সমস্যা থাকলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে । কোনো মানসিক চাপ থাকলে খুব তাড়াতাড়ি কমিয়ে আনতে হবে। মোটকথা পরিমিত ঘুমের জন্য যা যা প্রয়োজন সময় থাকতেই ব্যবস্থা নিতে হবে। 


No comments

Powered by Blogger.