বাচ্চার মুখ থেকে লালা পড়া বন্ধ করার উপায় এবং সমাধান

ways-solution-stop-baby-drooling



ways-solution-stop-baby-drooling


আপনার আদরের ছোট শিশুকে সুস্থ রাখতে আপনার হয়তো চেষ্টার কমতি থাকে না কিন্তু তারপরও কিছু কিছু রোগ হয়েই যায়। বাচ্চাদের মুখ থেকে লালা পড়া তেমন কোন খারাপ কিছু না। সাধারণত বাচ্চাদের পড়েই থাকে। কিন্তু তার পরও আপনার হয়তো চিন্তার অন্ত নেই। 


বাচ্চার মুখ থেকে লালা পড়া বন্ধ করার কিছু উপায় জানা দরকার, আপনি মা হিসেবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সাধারণত বাচ্চাদের দুধের দাঁত, ছয় থেকে আট মাসের মাথায় বের হতে শুরু করে। অনেক বাচ্চার আবার তিন মাসের মাথা থেকেই মুখ থেকে লালা ঝরতে শুরু করে দেয়। যদি আপনার বাচ্চার দাঁত ওঠার সময় হয়নি, অথচ মুখ থেকে অনবরত লালা বেরোতে থাকে, তাহলে এই উপায়গুলো চেষ্টা করে দেখুন, কাজে লাগবে। এগুলো আপনার বাচ্চার দাঁত বাহির হলেও প্রয়োগ করতে পারেন। 


In the summary
(১) সুতি কাপড় দিয়ে বারবার মুছে ফেলুন 
(২) কোনো কিছু চিবোতে দিতে পারেন
(৩) হালকাভাবে মুখের ভেতরে ফুঁ দিন
(৪) কাঠি দিয়ে বাচ্চার মাড়ি ঘষে দিন
(৫) ঘুমোনোর পদ্ধতি পাল্টে দিতে পারেন।



(১) সুতি কাপড় দিয়ে বারবার মুছে ফেলুন 
একটা নরম সুতি কাপড় দিয়ে যখনই বাচ্চার মুখ থেকে লালা বের হবে সেটা সঙ্গে সঙ্গে মুছে দিন। খুব আলতো করে যেন থুতনিতে ঘষা না লাগে সেই দিকটায় লক্ষ্য রাখবেন, বাচ্চা ব্যথা পেতে পারে। এতে করে যখন বারবার মুখ মুছে দেবেন, বাচ্চা নিজে থেকেই লালা গিলে ফেলার চেষ্টা করবে। একসময় গিলেই ফেলবে। 


(২) কোনো কিছু চিবোতে দিতে পারেন
আপনার বাচ্চার মুখ থেকে লালা পড়া বন্ধ করতে এই কাজটি করতে পারেন
তাকে কিছু একটা হালকা নরম জিনিস চিবোতে দিন, (সেটা এমন ছোট দেয়া যাবেনা,যা ওর পেটে চলে যাবে) যেটা দিয়ে তার মাড়িতে আরাম হবে এবং স্বস্তি বোধ করবে। এর ব্যবহারের লালা ফেলার অভ্যাসটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। 


(৩) হালকাভাবে মুখের ভেতরে ফুঁ দিন
বাচ্চার মুখে হালকা করে ফুঁ দিন, যাতে বাচ্চার বাতাস গেলার অভ্যাস হয়ে যার, কেননা এক‌ই সাথে লালা গুলোও গিলে ফেলবে এবং বাচ্চার বোধ শক্তি বৃদ্ধি পাবে। একটু একটু করে এই পদ্ধতি ট্রাই করে দেখতে পারেন।


(৪) কাঠি দিয়ে বাচ্চার মাড়ি ঘষে দিন
একটা কাঠি দিয়ে আপনার বাচ্চার মাড়ি দিনে দুই তিনবার হালকা করে ঘষে দিন। এতে মুখের অনুভূতি বাড়বে, এর ফলে মুখে লালা আসার সাথে সাথে সেটা গিলে ফেলার চেষ্টা করবে। তবে খুবই সাবধান হতে হবে যাতে বাচ্চার মাড়িতে আঘাত না লাগে, তাহলে বাচ্চা কান্নাকাটি করবে। 


(৫) ঘুমোনোর পদ্ধতি পাল্টে দিতে পারেন
যদি ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে খুব লালা ফেলে তাহলে বাচ্চার ঘুমোনোর পুরো পদ্ধতি পাল্টে দিতে পারেন। শোয়ানোর ভঙ্গিটা পাল্টে দেয়ার ফলে মুখের লালা অনেকটাই আটকে যাবে। যেমন বাচ্চা যদি একপাশ করে ঘুমায় তাহলে লালা অনর্গল বের হতেই থাকবে তাই বাচ্চাকে পিঠে চিৎ করে শুয়ে দিন, লালা অনেকটাই আটকে যাবে।


এই ছিল মোটামোটি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের কিছু পরামর্শ মুলক চিকিৎসা বা সমাধান। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো এই নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার মতো কিছু নেই, কারণ এটা স্বাভাবিক প্রায় বাচ্চাদের হয়েই থাকে, তাই একটু কেয়ার করলেই চলবে। 


এর জন্য ডাক্তার কবিরাজ নিয়ে দৌড়াদৌড়ির কোন প্রয়োজন নেই। তবে যদি সেটা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায় বা আপনার মনে হচ্ছে ডাক্তার দেখানো উচিত, তাহলে ভালো কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে। 


No comments

Powered by Blogger.