অকৃষি জমি কাকে বলে ? অকৃষি জমি খাজনার পরিমাণ কত!
In short
(১) অব্যবহৃত বা পতিত জমির কর কৃষি হারে (১/= প্রতি শতাংশ) আদায় করতে হবে।
(২) ০.৫০ হতে ১.৪৯ একর পর্যন্ত জমির মালিককে প্রান্তিক চাষি এবং ১.৫০ হতে ২.৪৯ একর পর্যন্ত জমির মালিককে ক্ষুদ্র চাষি বলা হয়।
(৩) ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি পর্যায়ে কায়িক শ্রম বা নিজস্ব শারীরিক পরিশ্রমের উপর নির্ভরশীল হাঁস-মুরগির খামার/ডেইরি ফার্মের জন্য ব্যবহৃত জমির খাজনা মওকুফ করা হয়েছে ।
(৪) সরকারি/আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংখ্যা কর্তৃক গবেষণামূলক কাজের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত খামারের জমির খাজনা আবাসিক হারে আদায় করতে হবে।
✓ অকৃষি জমি বলতে যা বোঝায়
কৃষি জমি বাদে অন্যান্য সকল জমিই অকৃষি কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত রাখলে তা অকৃষি জমি বলে গণ্য হবে। শহর/পৌর এলাকার কোনো জমি অকৃষি কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত রাখলে তা অকৃষি জমি বলে গণ্য হবে। শহর/পৌর এলাকার বাইরের কোনো জমি শিল্প বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হলে তা অকৃষি জমি বলে গণ্য হবে।
✓ শিল্প বা বাণিজ্যিক এলাকার খাজনা
শিল্প বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ভূমির জন্য খাজনার হার যেভাবে নির্ধারিত হবে, তা হলো, যে পরিমাণ জায়গা শিল্প/বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়, তার খাজনা বাণিজ্যিক হারে আদায় করতে হবে। যে পরিমাণ জমি আবাসিক কাজে ব্যবহৃত হবে, তার খাজনা আবাসিক হারে আদায় করতে হবে।
✓ ডেইরি ফার্ম/পোলট্রি ফার্মের খাজনার হার
সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত বিভিন্ন আকারের ডেইরি বা পোলট্রি ফার্মের ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনার হার নিম্নরূপ,
১. কৃষি জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদি পশু পালন ও হাঁস-মুরগির খামার স্থাপন করা হলে সেই জমির পরিমাণ যাই হোক, বাণিজ্যিক হারে খাজনা প্রদান করতে হবে। শহর, উপশহর, পৌরসভা ও উপজেলা সদরে অবস্থিত বসতবাড়ি সংলগ্ন অকৃষি জমিতে ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যে স্থাপিত খামারে দুগ্ধবতী গাভীর সংখ্যা যদি অনধিক ১৫ টি হয় এবং হাঁস-মুরগির সংখ্যা যদি অনধিক ৫০০ টি হয়, তবে উক্ত খামারের জমির জন্য খাজনা আবাসিক হারে প্রদান করতে হবে।
২. যে সকল খামারের কর বা খাজনা মওকুফ করা হয়েছে এবং যে সকল খামারের কর বা খাজনা আবাসিক হারে আদায়ের কথা বলা হয়েছে, সে সকল খামার যদি যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দুধ ও মাংস প্রসেস করে বিপণন বা বিক্রির ব্যবস্থা করে, তবে উল্লিখিত খামারের জমির খাজনা বাণিজ্যিক হারে আদায় করতে হবে।
৩. যে এসব খামারের গোচারণ ভূমি বা হাঁস-মুরগির খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত জমির খাজনা আবাসিক হারে আদায় করতে হবে। তবে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং হাঁস-মুরগির খামার গবাদি পশুর খামারকে প্রতিষ্ঠা করতে এবং প্রকৃত ব্যবহার নিশ্চিত করতে সকল খামারের ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা কৃষি হারে ধার্য হবে।
খেলার মাঠ, স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল, শরীরচর্চা কেন্দ্র এবং সরকারিভাবে বিহিত সকল ক্রীড়া চত্বরের খাজনা আবাসিক হারে আদায় করতে হবে। [ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৪/৯/১৪০৩ বাংলা ২৮/১২/১৯৯৬ ইংরেজি তারিখের স্মারক নং ভূঃ মঃ/শাঃ-৩/কর-৫৮/৯৬-২৫৩ (৬৪) মতে।]
No comments