হজ্বের এক সপ্তাহ এক নজরে দেখে নিন

one-week-hajj-at-glance


 হজ্ব || HAJJ  

হজ্ব ইসলামের মূল আক্বিদা সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি। হজ্বকে অস্বীকার কারী কাফের বলে গণ্য হবে। সামর্থবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হলেও হজ্ব পালন করতে হবে। আরো যদি সামর্থ থাকে তাহলে একাধিক বার হজ্ব পালন করতেও বাঁধা নেই। এই ক্ষেত্রে কেউ যদি সম্পদ ক্ষয়ের আশঙ্কায় হজ্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে সে অনেক বড় পাপী বলে গণ্য হবে। তাই হজ্ব পালন করা ইসলামে ওয়াজিব। 


হজ্বের নিয়ম কানুন গুলো নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হচ্ছে,আরো হবে। মানুষ আগের চেয়ে অনেক জ্ঞানসম্পন্ন, ধর্মীয় অনুসঙ্গ গুলো সবার‌ই ভালো ভাবে জানা। তাই এখানে জ্ঞাতার্থে একদমই সংক্ষেপে হজ্বের এক সপ্তাহের বিবরণ তুলে ধরা হলো। পড়ে দেখুন, ভালো লাগবে। 


✓ 7 জিলহজ্ব
1. চার পাঁচ দিনের জন্য জরুরী সরঞ্জাম নিয়ে হাত ব্যাগ প্রস্তুত করা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)
2. বড় ব্যাগ বাসায় রেখে যাওয়া। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)
3. ইহরাম বাঁধার পূর্বে হাযামাত বানান। (সুন্নত)
4. স্ত্রী সাথে থাকলে প্রয়োজন সেরে নেওয়া। (সুন্নত)
5. হজ্বের ইহরাম বাঁধা। (ফরজ)
6. (যদি কেউ চায়) নফল তাওয়াফ করে হজ্বের সা‘ঈ করে নেয়া যায়। উল্লেখ্য, তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করা সুন্নত। (ওয়াজীব)


✓ 8 জিলহজ্ব
এই দিন কোন ওয়াজীব বা ফরজ আহকাম নেই।
1. মিনা ময়দানে অবস্থান করা। (সুন্নত)
2. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (সুন্নত)
3. পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামা‘আতের সাথে আদায় করা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)
4. বেশি বেশি তিলাওয়াত ও যিকির করা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

✓ 9 জিলহজ্ব
1. সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফায় রওনা হওয়া। (সুন্নত)
2. যুহরের নামাজের পূর্বে গোসল করে নেয়া। (সুন্নত)
3. আউয়াল ওয়াক্তে যুহর আদায় করে আরাফায় খিমার মধ্যে উকূফ করা। (ফরজ)


4. বেলা ডুবা পর্যন্ত দু’আ দূরুদ ও কুরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)
5. কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে উকূফ করা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)
6. সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে, মাগরীব না পড়ে তালবিয়া পড়তে পড়তে মুযদালিফায় রওনা হওয়া। (ওয়াজীব)
7. মুযদালিফায় পৌছে ইশার ওয়াক্ত হলে মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়া। উল্লেখ্য, মুযদালিফায় রাত্রী যাপন করা এবং সেখান থেকে ৭০টি ছোট কংকর সংগ্রহ করা সুন্নত। (ওয়াজীব)


✓ 10 জিলহজ্ব
1. সুবহে সাদেকের পরে গোসল করা । (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)
2. বেশি-বেশি তালাবিয়া, যিকির, দু‘আ ও তিলাওয়াত করতে থাকা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)


3. আউয়াল ওয়াক্তে ফজর পড়ে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত উকূফে মুযদালিফা করা অর্থাৎ অবস্থান করা। (ওয়াজীব)
4. সূর্যোদয়ের সামান্য পূর্বে মুযদালিফা থেকে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া। (সুন্নত)
5. ঐ দিনে শুধু বড় শয়তানকে ৭টি কংকর মেরে দ্রুত চলে আসা। (ওয়াজীব)

✓ শয়তানকে কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)


6. ১০,১১,১২ তারিখের মধ্যে নিজেরা কুরবানী করা। (ওয়াজীব) * ব্যাংকের মাধ্যমে না করা।
7. মাথা মুন্ডানো। (ওয়াজীব) * ৫,৬,৭ নং কাজগুলি ধারাবাহিকভাবে করা জরুরী অর্থাৎ প্রথমে বড় শয়তানকে পাথর মারা তারপর কুরবানী করা তারপর মাথা মুন্ডানো।
8. ফরয তাওয়াফ করা। (ফরজ) * উল্লেখ্য, ৭ই জিলহজ্ব সা’ঈ না করে থাকলে এ তাওয়াফের পরে সা’ঈ করা।
9. রাত্রে মিনায় অবস্থান করা। (সুন্নত)


✓ 11 জিলহজ্ব
1. বাদ যুহর সূর্যাস্তের আগে আগে পর্যায়ক্রমে ছোট, মাঝারী ও বড় শয়তানকে সাতটি করে কংকর মারা। (ওয়াজীব)

✓ ছোট শয়তানকে পাথর মারার পর সামনে অগ্রসর হয়ে কিবলা মুখী হয়ে তাসবীহ তাহলীল ও দু’আ করা। মাঝারী শয়তানকে পাথর মারার পর অনুরূপ ভাবে দু’আ করা। তবে বড় শয়তানকে পাথর মেরে সেখানে দাঁড়িয়ে দু’আ করবে না বরং দ্রুত সেখান থেকে চলে আসবে। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়া। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

✓ কংকর মারার সময় ধারাবাহিকতা (অর্থাৎ ছোট, মাঝারী ও বড় ) ঠিক রাখা। (সুন্নত)
✓ শয়তানকে পাথর মারা। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

2. ফরয তাওয়াফ না করে থাকলে করে নেওয়া। (ফরজ)
3. রাত্রে মিনায় অবস্থান করা। (সুন্নত)


✓ 12 জিলহজ্ব
1. বাদ যুহর সূর্যাস্তের আগে আগে পর্যায়ক্রমে ছোট, মাঝারী ও বড় শয়তানকে সাতটি করে কংকর মারা। (ওয়াজীব)

✓ ছোট শয়তানকে পাথর মারার পর সামনে অগ্রসর হয়ে কিবলা মুখী হয়ে তাসবীহ তাহলীল ও দু’আ করা। মাঝারী শয়তানকে পাথর মারার পর অনুরূপ ভাবে দু’আ করা। তবে বড় শয়তানকে পাথর মেরে সেখানে দাঁড়িয়ে দু’আ করবে না বরং দ্রুত সেখান থেকে চলে আসবে। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়া। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)
✓ কংকর মারার সময় ধারাবাহিকতা (অর্থাৎ ছোট, মাঝারী ও বড় ) ঠিক রাখা। (সুন্নত)
✓ শয়তানকে পাথর মারা। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

2. ফরয তাওয়াফ না করে থাকলে আজ সূর্যাস্তের পূর্বেই তাওয়াফ করে নেওয়া জরুরী। (ফরজ)
3. রাত্রে মিনায় অবস্থান করা। (সুন্নত)


✓ 13 জিলহজ্ব
এই দিন কোন ফরজ আহকাম নেই
1. বাদ যুহর পর্যায়ক্রমে ছোট, মাঝারী ও বড় শয়তানকে সাতটি করে কংকর মেরে মক্কায় ফিরে আসা।

✓ উল্লেখ্য: ১৩ জিলহাজ্জ সুবহে সাদিকের পর যারা মিনায় থাকবে তাদের জন্য ১৩ জিলহাজ্জ শয়তানগুলোকে পাথর মারা ওয়াজীব।


✓ ছোট শয়তানকে পাথর মারার পর সামনে অগ্রসর হয়ে কিবলা মুখী হয়ে তাসবীহ তাহলীল ও দু’আ করা। মাঝারী শয়তানকে পাথর মারার পর অনুরূপ ভাবে দু’আ করা। তবে বড় শয়তানকে পাথর মেরে সেখানে দাঁড়িয়ে দু’আ করবে না বরং দ্রুত সেখান থেকে চলে আসবে। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়া। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)


✓ কংকর মারার সময় ধারাবাহিকতা (অর্থাৎ ছোট, মাঝারী ও বড় ) ঠিক রাখা। (সুন্নত)
✓ শয়তানকে পাথর মারা। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

Thank you all
Poem pen 🖊️





No comments

Powered by Blogger.