গোসল ফরজ হওয়ার কারণ সমূহ

reasons-why-bathing-obligatory




উম্মুল মুমিনীন মায়মুনা রাযি. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাবত থেকে গোসলের জন্য পানি রাখলেন। অতঃপর তিনি ডান হাত দিয়ে বাম হাতে দুই অথবা তিনবার পানি ঢাললেন। এরপর তিনি তাঁর নিম্নাঙ্গ ধৌত করলেন। অতঃপর তিনি কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন। 


তিনি তাঁর চেহারা ও দুই বাহু ধৌত করলেন। এরপর তিনি মাথায় পানি ঢাললেন। শরীর ধৌত করলেন। তিনি তাঁর জায়গা থেকে সরে গেলেন এবং দু’পা ধৌত করলেন। বর্ণনাকারী বলেন,‘এরপর আমি একটি কাপড়ের টুকরা নিয়ে এলাম। অবশ্য তিনি তা চাইলেন না। তিনি তাঁর হাত দিয়েই পানি ঝেড়ে ফেলতে শুরু করলেন।’ বর্ণনায় বুখারী‌ 


গোসল করার পদ্ধতি
✓ দুই অথবা তিনবার কব্জি পর্যন্ত দু’হাত ধোয়া।
✓ গুপ্তা নিম্নাঙ্গ ধৌত করা।
✓ জমিন অথবা দেয়ালে দুই অথবা তিনবার হাত ঘষা।
✓ নামাজের অজুর ন্যায় অজু করা, তবে মাথা মাসেহ ও পা ধোয়া ব্যতীত।
✓ মাথায় পানি ঢালা।
✓ সমস্ত শরীর ধৌত করা। 
✓ যেখানে দাঁড়িয়ে গোসল করা হয়েছে সেখান থেকে সরে গিয়ে পা ধোয়া।


গোসল ফরয হয় যেসব কারণে
১. বীর্যপাত ঘটার কারণে 
২. স্ত্রী সঙ্গমের কারণে 
৩. অমুসলিম ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে 
৪. হায়েয ও নিফাস বন্ধ হলে
৫. মৃত্যু বরণ করলে 

✓ বীর্যপাত ঘটার কারণে 
বীর্য হলো: গাড়-সাদা পানি যা যৌন-উত্তেজনাসহ ঠিকরে বের হয়, যারপর শরীর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বীর্য গন্ধে অনেকটা পঁচা ডিমের মতো। 
ইরশাদ হয়েছে :  وَإِن كُنتُمۡ جُنُبٗا فَٱطَّهَّرُواْۚ

আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও, [ সূরা আল মায়েদা:৬] হযরত আলী রাযি. বলেছেন, ‘তুমি যদি সজোরে পানি নির্গত করো, তবে গোসল করো।’ বর্ণনায় আবু দাউদ


✓ স্ত্রী সঙ্গমের কারণে 
পুরষাঙ্গ ও যোনির সম্মিলনকে সঙ্গম বলে। আর এটা ঘটে পুরষাঙ্গের পুরো অগ্রভাগ যোনির অভ্যন্তরে প্রবেশ করার ফলে। এতটুকু হলেই সঙ্গম বলে ধরা হবে, এক্ষেত্রে বীর্যপাত না ঘটলেও গোসল ফরজ হয়ে যাবে। 


✓ অমুসলিম ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে 
কোনো অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাকে গোসল ওজু করে পবিত্র হতে হবে। কায়েস ইবনে আসেম যখন ইসলাম গ্রহণ করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে গোসল করার নির্দেশ দেন। বর্ণনায় আবু দাউদ।


✓ হায়েয ও নিফাস বন্ধ হলে
আয়েশা রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফাতিমা বিনতে আবি হুবাইশ রাযি. কে বলেন, ‘হায়েয এলে নামাজ ছেড়ে দাও, আর হায়েয চলে গেলে গোসল করো ও নামাজ পড়ো।’ নিফাস হলো হায়েয এর মতো, এ ব্যাপারে কারো দ্বীমত নেই। বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম।


✓ মৃত্যু বরণ করলে 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কন্যা যায়নাব রাযি. এর মৃত্যুর পর তিনি বলেছেন, ‘তাকে তিনবার গোসল দাও, অথবা পাঁচবার অথবা তারও বেশি যদি তোমরা ভালো মনে করো।’ বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম



No comments

Powered by Blogger.