মুহাম্মাদ নামের মর্মকথা
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা‘আলা বিভিন্ন নামে ভূষিত করেছেন। তার মধ্যে ‘মুহাম্মাদ’ নামটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নামটি আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে পাকের চার স্থানে উল্লেখ করেছেন।
এই নামটি নবীর জন্মের পূর্বেই তাঁর দাদা খাজা আব্দুল মুত্তালিবকে স্বপ্নের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল। আর এ নামের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হবে হাশরের ময়দানে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সকল মানুষের জন্য সুপারিশের লক্ষ্যে মাকামে মাহমূদে উপস্থিত হবেন ।
আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করবেন এবং আল্লাহ তা‘আলা সেই সুপারিশ কবুল করে হিসাব শুরু করবেন। ইতিপূর্বে সব মানুষ সকল বড় বড় রাসূল আ. গণের দরবারে গিয়ে ফিরে আসবে, কেউ তাদের সুপারিশের দায়িত্ব নিতে সাহস করবে না। ঠিক এমনই মুহূর্তে মহানবী শাফা‘আতের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
মহানবীর শাফা‘আতে দুনিয়ার শুরুলগ্ন থেকে শেষ পর্যন্ত যত মানুষের দুনিয়াতে আবির্ভাব ঘটেছে, সেই সকল মানুষই একবাক্যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন। তখন মুহাম্মাদ অর্থাৎ প্রশংসিত নামের পূর্ণপ্রকাশ ঘটবে।
মহানবীর আরেক নাম ‘আহমাদ’ যার অর্থ হল সকলের চেয়ে বেশী প্রশংসাকারী। বাস্তবিক পক্ষে তিনিই আল্লাহ তা‘আলার জন্য সবচেয়ে বেশী কুরবানী করেছেন এবং জান-মাল দিয়ে আল্লাহর সবচেয়ে বেশী প্রশংসা করেছেন। তার বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা তাকে অসীম মর্যাদা দান করবেন।
দুনিয়াতে যে যত বেশী আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করবে, তার দ্বীনের জন্য যত বেশী কুরবানী করবে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁদের'কে দুনিয়া আখিরাতে ততবেশী প্রশংসিত ও মর্যাদাশীল করবেন। তায়েফের অত্যাচারের পরক্ষণেই মিরাজে আল্লাহ তা‘আলার দীদার ও সান্নিধ্য লাভ তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
আল্লাহ তা‘আলা বান্দার ত্যাগ-তিতিক্ষা, দুঃখ কষ্ট সবই হিসাব করে রাখেন এবং বান্দাকে সেই অনুপাতে বরং তার চেয়ে অনেক বেশী প্রতিদান দিয়ে থাকেন।তাই পৃথিবীতে যে যতো বেশি দুঃখ কষ্ট সহ্য করে ঈমান নিয়ে যেতে পারবে আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য উত্তম প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন।
No comments